দুবাই: শুরুটা করেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। আর শেষটা করলেন হর্ষল পটেল। ব্যাটিং ঝড় শুরুতে তো বোলিং ধামাকা শেষে। দুবাই সাক্ষী থাকল আইপিএলের অন্যতম রোমাঞ্চকর একটা লড়াইয়ের। যেই লড়াইয়ে রোহিত বাহিনীকে হারিয়ে দিল বিরাট কোহলির দল। যেই লড়াই আরও একবার দেখিয়ে দিল যে ওস্তাদের মার শেষ রাতে।
দুবাইয়ের জয়ের জন্য মরিয়া ২ দলের মুখোমুখি মহারণ। সুপার সানডের অন্যতম সেরা ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ বাড়ছিলই। সেই পারদ বাড়িয়ে দিলেন আরসিবির তরুণ পেসার হর্ষল পটেল। চলতি আইপিএলে পার্পল ক্যাপের দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন হর্ষল। এদিন আরও একটা কীর্তি গড়লেন। দুরন্ত হ্যাটট্রিকের মালিক হলেন হর্ষল। যার সঙ্গে সঙ্গে দলকে এনে দিলেন আমিরশাহিতে এই পর্বে আইপিএলে প্রথম জয়।
এদিন ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ওপেনিংয়ে কুইন্টন ডি কককে নিয়ে বোর্ডে ৫৭ রান যোগ করেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তিনি ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল মুম্বই ব্যাটিং। রোহিত ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ডি কক ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ রান করেন। কিন্তু এরপর আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। দীর্ঘদিন পর মাঠে নামা হার্দিকও ব্যর্থ হন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব দেখানোর পর এদিন বল হাতেও ভেলকি দেখান। তুলে নেন প্রতিপক্ষের ২ উইকেট। ম্যাচের শেষটা পুরোটাই হর্ষল পটেলের নামে। বল হাতে একেবারে সঠিক সময়, সঠিক দিনে ফের জ্বলে উঠলেন হর্ষল। এদিন ১৭ তম ওভারে যখন বিরাট হর্ষলকে বোলিংয়ের দায়িত্ব দেন, তখন মুম্বইয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৪ বল ৬১ রানের। হাতে ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু সেই ওভারেই ম্যাচের রাশ পুরোপুরি নিজেদের দখলে করে নেন হর্ষল। ১৭ তম ওভারের প্রথম বলেই হার্দিক পাণ্ড্যকে আউট করেন। বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্য়াভিলিয়ন ফেরেন বরোদা তারকা। এরপরের বল ফেরান কায়রন পোলার্ডকে। তিনি বোল্ড হয়ে যান। এর পরের বলে রাহুল চাহারকে লেগবিফোর করেন হর্ষল।
এরপর আরসিবির জয় ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে ১১১ রানে অল আউট হয়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থান ধরে রাখল বিরাট বাহিনী। অন্যদিকে মুম্বই টানা তৃতীয় ম্যাচ হারল আমিরশাহিতে।