আবু ধাবি: ম্য়াচ গড়িয়েছিল শেষ ওভারে। সেখানও চিত্রনাট্যে ছিল পরতে পরতে উত্তেজনা। ২ উইকেট পরপর তুলে নিয়েও ম্যাচে জয় ছিনিয়ে আনতে পারল না নাইট রাইডার্স। সিএসকের বিরুদ্ধে আবু ধাবিতে হার হজম করতে হল মর্গ্যান বাহিনীকে। শেষ ওভারে ৪ রান দরকার ছিল সিএসকের। কিন্তু সেখানও ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন সুনীল নারাইন। পরপর ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। একটা সময় ১ বলে ১ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। কিন্তু শেষ বলে দৌড়ে সিঙ্গলস নিয়ে চেন্নাইয়ের জয় এনে দেন দীপক চাহার।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কলকাতা অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন শুভমন গিল। কিন্তু ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হতে হয় তাঁকে। মাত্র ৯ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর ভেঙ্কটেশ আইয়ারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে এদিন ১৮ রান করে আউট হন ভেঙ্কটেশ। ক্য়াপ্টেন মর্গ্যান ব্যর্থ হলেও নীতিশ রানা ও রাহুল ত্রিপাঠী মিলে দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ত্রিপাঠী ছিলেন দারুণ ফর্মে। তবে এদিন অর্ধশতরান মিস করেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৩ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন তিনি। রানা ২৭ বলে ৩৭ রান করেন। অন্যদিকে ১৫ বলে ২০ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। তবে রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন দীনেশ কার্তিক ক্রিজে এসে।
প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ক এদিন ১১ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। স্লগ ওভারে তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান বোর্ডে তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
১৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এদিন সিএসকের সামনে কেকেআর ম্যাচে জয়ের জন্য। দারুণ শুরুও করেছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড ও ফাফ ডু প্লেসি। ২ জনে মিলে বোর্ডে ৭৪ রান যোগ করে নিয়েছিলেন। চেন্নাই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন রাসেল। গায়কোয়াড ২ টো বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪০ রান করে আউট হন। আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন ডু প্লেসিও। ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩০ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। তবে ২ জন ফিরতেই কিছুটা চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, আম্বাতি রায়ডু ও সুরেশ রায়না। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন মঈন আলি। ২টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মঈন ফেরার পর আবার চাপ বাড়লেও চেন্নাইয়ের জয়ের রাস্তা দেখিয়ে দেন রবীন্দ্র জাদেজা। মাত্র ৮ বলে ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে ইনিংসের ১৯ তম ওভারে ২২ রান দেন জাদেজা। শেষ ওভারে ৬ বলে ৪ রান দরকার ছিল। যখন মনে হচ্ছিল যে ম্যাচ জয় খুবই সহজ সিএসকের কাছে। ঠিক তখনই রং পাল্টানোর আভাস দিলেন সুনীল নারাইন। পরপর ফিরিয়ে দেন স্যাম কারান ও রবীন্দ্র জাদেজাকে। তবে ম্যাচে জয় এনে দিতে পারেননি তিনি। এই ম্যাচ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে চেন্নাই ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেল। কলকাতার ঝুলিতে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট।