আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়ে হবে নিলাম। ফেব্রুয়ারিতে হচ্ছে আইপিএল নিলাম, সেকথা জানাই ছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শুরুতে নাকি শেষে, বিসিসিআই কবে মিনি নিলাম করবে, তা আগে বলেনি বিসিসিআই। অবশেষে বুধবার ঘোষণা হল, ১৮ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়ে হবে নিলাম।
আইপিএলের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে লেখা হয়, ‘আইপিএল ২০২১-এর ক্রিকেটারদের নিলাম ১৮ ফেব্রুয়ারি। কেন্দ্র- চেন্নাই। এ বছরের আইপিএল নিলামের জন্য আপনারা কতটা উত্তেজিত?’ এই ট্যুইটটি রি-ট্যুইট করা হয় বিসিসিাইয়ের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও। বিসিসিআইয়ের তরফে এও জানানো হয়েছে যে, আইপিএল চুক্তি নেই এমন ভারতীয় ক্রিকেটাররা নিলামে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করাতে চাইলে অকশন এগ্রিমেন্ট ফর্ম ফিলাপ করে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টার মধ্যে অনলাইনে জমা দিতে পারেন। এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী ফর্মের হার্ড কপি ডাকযোগে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঠানো যাবে।
আইপিএল ২০২০ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হলেও বিসিসিআই ঘরের মাঠেই পরবর্তী ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করতে চায়। নিলামের সূচি ঘোষণা করা হলেও আইপিএল ২০২১-এর কোনও দিনক্ষণ এখনও জানানো হয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে। যদিও এটা নিশ্চিত যে, আইপিএল ফিরছে তার এপ্রিল-মে মাসের পুরনো উইন্ডোতেই। তাই হাতে নিতান্ত কম সময় থাকায় এবছর টুর্নামেন্টে বাড়তি দু'টি দল অন্তর্ভুক্ত করতে চায়নি বিসিসিআই। তবে এটা স্থির হয়েছে যে ২০২২ থেকে আইপিএল খেলা হবে ১০ দলের।
মিনি নিলামের আগে কেকেআরের ঝুলিতে আছে ১০.৭৫ কোটি টাকা। যা আইপিএলের আট দলের মধ্যে যুগ্মভাবে সর্বনিম্ন। কেকেআরের মতো সমান অর্থ আছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে ডেভিড ওয়ার্নাররা অনেক সুবিধাজনক জায়গায় আছেন। কারণ দলে আর মাত্র তিনজনের জায়গা পড়ে আছে। তার ফলে অঙ্কের হিসাবে কম অর্থ থাকলেও বেশি ভালো খেলোয়াড় কেনার সুযোগ আছে সানরাইজার্সের সামনে।