দুবাই: একেই বোধহয় বলে ওস্তাদের মার শেষ রাতে। আর ওস্তাদের নাম যদি হয় মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, তবে তো কথাই নেই। বয়স বেড়েছে, কিন্তু এখনও যে খিদেটা একইরকম তা বুঝিয়ে দিলেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি মানেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলা। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। ৬ বলে ১৩ রান দরকার ছিল। সেই ম্যাচ ২ বল বাকি থাকতেই জিতিয়ে দিলেন এমএসডি। দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে এবারের আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। রবিবার দুবাইয়ে ৪ উইকেটে তারা হারিয়ে দিল দিল্লিকে। 


১৭৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্রথমেই এদিন আনরিচ নোখিয়ার বলে আউট হয়ে ফিরে যান ফাফ ডু প্লেসি। কিন্তু এরপরই পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড ও রবিন উথাপ্পা। দু জনে মিলের দলের স্কোর একশোর গণ্ডি পার করে দেন। ২ জনেই অর্ধশতরানও পূরণ করেন। উথাপ্পা ৬৩ রানে প্যাভিলিয়ন ফেরেন। অন্যদিকে রুতুরাজ ৭০ রান করে আউট হন। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে হেসেখেলে জয় ছিনিয়ে নেবে সিএসকে। কিন্তু পরপর সেখান থেকে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তবে ধোনি ক্রিজে আসার পর আর চাপ বাড়েনি সিএসকের। ৬ বলে ১৮ রান করে ম্যাচের শেষে অপরাজিত থাকেন ধোনি। 


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চলতি আইপিএলে এর আগের ২ বারের সাক্ষাতে একবারও দিল্লির বিরুদ্ধে জয় পায়নি সিএসকে। কিন্তু এই ম্যাচে জয় পেলে সরাসরি ফাইনালের টিকিট পাওয়া যাবে। এমএসের সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, তার প্রমাণ দিয়েছিলেন বোলাররাও। একের পর এক দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপের প্রত্যেকেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে থাকেন। তবে পৃথ্বী শ ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি ৩৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। শিখর ধবন, শ্রেয়স আইয়ার ও অক্ষর পটেল প্রত্যেকেই ব্যর্থ হন। তবে ঋষভ পন্থ এসে খেলার সামাল দেন। হেটমায়েরকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখার কাজটা করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে যখন আউট হন পন্থ, তখন তাঁর নামের পাশে ৩টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা। হেটমায়েরও তাঁর ৩৭ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা মারেন। চেন্নাই বোলারদের মধ্যে এদিন ২ উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড। ১টি করে উইকেট নেন ডোইয়েন ব্র্যাভো, মঈন আলি ও রবীন্দ্র জাদেজা। তবে চেন্নাইয়ের আরও ২ তারকা বোলার দীপক চাহার ও শার্দুল ঠাকুর এই ম্যাচে কোনও উইকেট পাননি।