আমদাবাদ: চলতি আইপিএলে দুরন্ত কিছু ফিল্ডিংয়ের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে ইচিমধ্যেই। রবীন্দ্র জাডেজা, হার্দিক পাণ্ড্যরা অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতা দেখাচ্ছেন ফিল্ডিংয়ে। তবে সোমবার আমদাবাদের নবনির্মিত নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রবি বিষ্ণোই যা করলেন, তাতে হইচই পড়ে গিয়েছে।


অর্শদীপ সিংহের বলে অবিশ্বাস্যভাবে নিলেন সুনীল নারাইনের ক্যাচ। যা দেখে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার সকলেই। বলাবলি শুরু হয়ে গিয়েছে, এটাই আইপিএলের সেরা ক্য়াচ কি না তা নিয়ে।


কী এমন করেছেন রবি? কেকেআর ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বল। পঞ্জাব কিংসের পেসার অর্শদীপ সিংহের শর্ট বলে জোরাল শট মারেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুনীল নারাইন। বল শূন্যে থাকাকালীন ডিপ মিড উইকেট থেকে দৌড় শুরু করেন রবি। বল তাঁর নাগালের বাইরে মাটিতে পড়ছে দেখে শূন্যে শরীর ভাসিয়ে দেন। তারপর বাজপাখির মতো মাটিতে পড়ার ঠিক আগে ছোঁ মেরে বল তালুবন্দি করেন রবি। যে ক্যাচ দেখে সকলে হতবাক।


ম্যাচের শেষে পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক হারের পরও রবির ক্যাচ নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বললেন, 'অবিশ্বাস্য ক্যাচ। এটা সম্ভব হয়েছে ফিল্ডিং কোচ জন্টি রোডসের জন্য। ছেলেদের থেকে সেরাটা বার করে আনছেন। কঠোর শিক্ষক জন্টি।' সোমবার রবির ক্যাচ দেখে জন্টিও উৎসাহিত হবেন, নিঃসন্দেহে।



সোমবার পঞ্জাব কিংসকে হেলায় হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুরুর দিকে পরপর কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ২০ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন অইন মর্গ্যান-দীনেশ কার্তিকরা। বীর-জারার লড়াইয়ে জিতে আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে এল কেকেআর।


বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয় হয় পঞ্জাব কিংসের। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র স্কোরে আটকে যায় পঞ্জাব। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বল হাতে দাপট দেখালেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটারেরা। প্যাট কামিন্স-প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর পেস জুড়ি হোক বা সুনীল নারাইন-বরুণ চক্রবর্তীর স্পিন ফলা, সোমবার কেকেআর বোলারদের শাসন দেখল আমদাবাদ। নজর কাড়লেন শিবম মাভিও। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচ করে তুলে নিলেন ক্রিস গেলের মহা গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। মাভির বলে কট বিহাউন্ড হন গেল। মাঠের আম্পায়ার তাঁকে নট আউট দিয়েছিল। কেকেআর ডিআরএস নিলে তৃতীয় আম্পায়ার গেলকে আউট ঘোষণা করেন।


৪ ওভারে ২২ রানে ২ উইকেট নেন নারাইন। অনেকদিন পর বল হাতে তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, উইকেট নিতে পারেন। অ্যাকশন বদলে সোমবার ভাল বল করেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার। ৩ ওভারে ৩১ রানে ২ উইকেট নেন কামিন্স। বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে দেন ২৪ রান। নেন এক উইকেট।


১২৪ রানের লক্ষ্য অনায়াসে তাড়া করে ফেলল কেকেআর। শুরুতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানোর পরেও রাহুল ত্রিপাঠি (৪১) ও অইন মর্গ্যান (৪৭ অপরাজিত) দলকে ম্যাচ জেতালেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন মর্গ্যানই।