দুবাই: অনবদ্য হর্ষল পটেল। একটা, দুটো নয়। পরপর তিন উইকেট। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে হ্য়াটট্রিক করলেন আরসিবির এই তরুণ পেসার। এরমধ্যেই পার্পল ক্যাপের দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন তিনি। এবার হ্যাটট্রিকের মালিকও হয়ে গেলেন। এদিন পুরো ম্যাচেও দুর্দান্ত বল করলেন হর্ষল। মুম্বই ম্যাচের শেষে হর্ষলের বোলিং ফিগার অনেকটা এরকম ৩.১-০-১৭-৪।


মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ জিততেই হত আরসিবিকে। কারণ রবিবারে আগে পর্যন্ত আমিরশাহিতে এবারের আইপিএলে জয়ের মুখ দেখেনি আরসিবি। বল হাতে একেবারে সঠিক সময়, সঠিক দিনে ফের জ্বলে উঠলেন হর্ষল। এদিন ১৭ তম ওভারে যখন বিরাট হর্ষলকে বোলিংয়ের দায়িত্ব দেন, তখন মুম্বইয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৪ বল ৬১ রানের। হাতে ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু সেই ওভারেই ম্যাচের রাশ পুরোপুরি নিজেদের দখলে করে নেন হর্ষল। ১৭ তম ওভারের প্রথম বলেই হার্দিক পাণ্ড্যকে আউট করেন। বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্য়াভিলিয়ন ফেরেন বরোদা তারকা। এরপরের বল ফেরান কায়রন পোলার্ডকে। তিনি বোল্ড হয়ে যান। এর পরের বলে রাহুল চাহারকে লেগবিফোর করেন হর্ষল। 


এই নিয়ে তৃতীয় আরসিবি বোলার হিসেবে আইপিএলে হ্যাটট্রিক করলেন হর্ষল পটেল। এর আগে ২০১০ সালে প্রবীণ কুমার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে এই নজির গড়েছিলেন। ২০১৭ সালে স্যামুয়েল বদ্রী মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক নেন। এরপর এদিন হর্ষল। ৯ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত পার্পল ক্যাপ পাওয়ার দৌড়ে সবার ওপরে রয়েছেন হর্ষল। 


এদিকে এদিন ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ওপেনিংয়ে কুইন্টন ডি কককে নিয়ে বোর্ডে ৫৭ রান যোগ করেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তিনি ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল মুম্বই ব্যাটিং। রোহিত ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ডি কক ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ রান করেন। কিন্তু এরপর আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। দীর্ঘদিন পর মাঠে নামা হার্দিকও ব্যর্থ হন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব দেখানোর পর এদিন বল হাতেও ভেলকি দেখান। তুলে নেন প্রতিপক্ষের ২ উইকেট।