শারজা: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পঞ্জাব কিংসকে মাত্র ৬ রানে হারিয়ে প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন করে ফেলল বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দুই ম্যাচ হাকি থাকতেই। ১২ ম্যাচের শেষে আরসিবির পয়েন্ট দাঁড়াল ১৬। অন্যদিকে হেরে চাপে পঞ্জাব। ১৩ ম্যাচের শেষে কে এল রাহুলদের পয়েন্ট দাঁড়াল ১০। প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন করতে হলে তাদের শেষ ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যান্য ম্য়াচের ফলাফলের দিকেও।


বলা হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উপযুক্ত নয়। পিচ নাকি মন্থর, বল ব্যাটে আসছে থমকে। টাইমিং হচ্ছে না। বড় রান উঠছে না। এমনকী, কলকাতা নাইট রাইডার্সের উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিক তো সরাসরি সাংবাদিক বৈঠকে এসে বলে গিয়েছিলেন যে, শারজার বাইশ গজ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মতো নয়।


রবিবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেোঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটিংয়ের শুরুটা দেখলে মনে হবে, শারজার উইকেট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অনুপযুক্ত, সেটাই যেন আরও বদ্ধমূল হচ্ছে। অথচ সব হিসেব নিকেশ উল্টে দিলেন গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য ক্রিকেটবিশ্বে যাঁর নামকরণ করা হয়েছিল ম্যাডম্যাক্স। ৩৩ বলে ৫৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে গেলেন অস্ট্রেলীয় তারকা। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা। কঠিন পিচেও সাবলীল ইনিংস খেলে গেলেন ম্যাক্সওয়েল।


ইনিংসের প্রথমার্ধে অবশ্য অন্য কাহিনী। সেখানে শুধুই বোলারদের দাপটের ছবি। বিশেষ করে মোয়েস অনরিকসের। পঞ্জাবের অলরাউন্ডার ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করে তুলে নিলেন ৩ উইকেট। তাঁর শিকারের তালিকায় বিরাট কোহলি, দেবদত্ত পড়িক্কল ও ড্যাল ক্রিশ্চিয়ান। আরসিবি ব্যাটিংকে শুরুতেই জোরাল ধাক্কা দেন তিনি। ২৪ বলে ২৫ রান করে আউট হন কোহলি। দেবদত্ত করেন ৩৮ বলে ৪০ রান। ওপেনাররা ৬৮ রান যোগ করলেও অনরিকসের দাপটে ৭৩/৩ হয়ে গিয়েছিল আরসিবি। সেখান থেকে ম্যাক্সওয়েলের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ব্যাঙ্গালোরের দল। শেষ দিকে ১৮ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে যান এ বি ডিভিলিয়ার্স। বাংলার শাহবাজ আমেদ ছক্কা মেরে শুরু করলেও ৮ রান করে মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে যান।


পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যাট করে ১৬৪/৭ তুলল আরসিবি। পঞ্জাব বোলারদের মধ্যে অনরিকস ছাড়া সফল মহম্মদ শামি। ৪ ওভারে ৩৯ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন বাংলার পেসার। পঞ্জাবের সামনে জয়ের জন্য ১৬৫ রানের লক্ষ্য রেখেছিলেন বিরাটরা। জবাবে ১৫৮/৬ স্কোরে আটকে যায় পঞ্জাব। কে এল রাহুল (৩৯) ও ময়ঙ্ক অগ্রবাল (৫৭) ছাড়া আর কেউই রান পাননি। তিন উইকেট যুজবেন্দ্র চাহালের।