নয়াদিল্লি: প্র্যাক্টিসের সময়ই জ্বর এসেছিল। ঋদ্ধিমান সাহা ভেবেছিলেন হিট স্ট্রোক। শনিবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। পরে রবি ও সোমবার ফের পরীক্ষা করান। তাতেই করোনা পজিটিভ হয়েছেন বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্য়ান।


ঋদ্ধির শরীরে করোনার উপসর্গ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। গত ১ মে বিকেলে আয়োজিত সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচের আগে থেকেই তাঁর জ্বর এসেছে। সানরাইজ়ার্স দলের সঙ্গে ১ মে ঋদ্ধিমান অনুশীলনও করেছিলেন। অনুশীলন চলাকালীন ঋদ্ধি মনে করেছিলেন যে, তাঁর বোধহয় হিট স্ট্রোক হয়েছে। ওই একই দিনে তিনি কোভিড-১৯ পরীক্ষাও করান। যদিও সেই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। পরে রবিবার এবং সোমবার তাঁর আরও দুটো পরীক্ষা করানো হয় তাঁর। মনে করা হচ্ছে তৃতীয় রাউন্ডের পরীক্ষাতে তাঁর কোভিড পজ়িটিভ আসে। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ঋদ্ধিকে আইসোলেশনে রেখেছে। 




চলতি আইপিএল টুর্নামেন্টে ঋদ্ধিমান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে দুটো ম্যাচে মোট আট রান করেছেন। এছাড়া তিনটে ক্যাচ নিয়েছেন। তারপর তিনি আর প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি।

 

তিনি ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্র, চেন্নাই সুপার কিংসের তিন সাপোর্ট স্টাফ আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়রের। এঁদের মধ্যে বরুণ শুধু প্রথম একাদশের নিয়মিত সদস্যই নন, দলের স্পিন বিভাগকে কার্যত নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওভারগুলো তাঁর হাতেই বল তুলে দিচ্ছিলেন কেকেআর অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। সন্দীপ ওয়ারিয়র এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ খেলেননি। তাই বরুণের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে ভীষণই উদ্বেগ নাইট শিবিরে।


করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে উথালপাতাল ভারত। যে কারণে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল আইপিএল। ক্রিকেটার ও সমস্ত সাপোর্ট স্টাফদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।


বোর্ড থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, 'আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরা ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যরা জরুরিভিত্তিক বৈঠক করে। তাতেই সর্বসম্মতিক্রমে চলতি আইপিএল এখনই স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'