নয়াদিল্লি: আইপিএলে করোনার অভিশাপ জাঁকিয়ে বসছে। এবার সংক্রমিত বোলিং কোচ লক্ষ্মীপতি বালাজি-সহ চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরের তিনজন। যা নিয়ে আচমকাই উদ্বেগের মেঘ মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের শিবিরে।


প্রতিনিয়ত দেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা পেল না আইপিএলও। সোমবারই জানা গিয়েছে, কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের বরুণ চক্রবর্তী, সন্দীপ ওয়ারিয়র করোনা আক্রান্ত। তার জেরে বাতিল হয়েছে সোমবার রাতের কেকেআর বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচও। এবার করোনা থাবা বসাল চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরেও।


বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, সিএসকে দলের তিন সদস্য পড়েছেন করোনার কবলে। যাঁদের মধ্যে আছেন দলের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) কাশী বিশ্বনাথন, দলের বোলিং কোচ লক্ষ্মীপতি বালাজি ও সিএসকের দলের বাস পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা একজন সদস্য। রবিবারের পরীক্ষায় তাঁদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়েছে। যদিও দলের সকল ক্রিকেটারের পরীক্ষার ফলই নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। কোনরকম ভুলভ্রান্তি এড়াতে, ওই তিন সদস্যের পুনরায় সোমবার সকালে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যদি সেই পরীক্ষার ফলও পজিটিভ আসে, তবে বালাজি-সহ বাকিদের ১০ দিন নিভৃতবাসে কাটাতে হবে।


সবচেয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে কারণ, বালাজি দলের বোলিং কোচ হওয়ায় ক্রিকেটারদের সঙ্গে সারাক্ষণই থাকেন। শনিবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে শেষ বলে হেরে গিয়েছিল সিএসকে। সেই ম্য়াচেও ডাগ আউটে ছিলেন বালাজি। ফলে তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাকিদের মধ্যেও চাপা উদ্বেগ রয়েছে। পাশাপাশি সিইও-ও বায়ো বাবলে আছেন। কীভাবে বায়ো বাবলে থাকাকালীন তাঁরা আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 


করোনা পরিস্থিতিতে একাধিকবার বিভিন্ন মহল থেকে আইপিএল চালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অ্যাডাম জাম্পা-সহ বহু ক্রিকেটার করোনার ভয়ে নিজেদের ফ্রাঞ্চাইজি ছেড়ে আইপিএলের মাঝপথেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। জৈব বলয়ের সুরক্ষা নিয়ে কড়াকড়ি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে একের পর এক ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তা নিয়ে বিস্মিত সব মহলই।


দলে আতঙ্ক, রোজ করোনা পরীক্ষা হবে কেকেআর প্লেয়ারদের, সকলেই নিভৃতবাসে