মুম্বই : থাই-ফাই ফিল্ডিংয়ের পর হাই-ফাই ব্যাটিং। দুই মিলিয়ে ওয়াংখেড়ে ধবন-ধামাকা। নিটফল, চেন্নাই সুপার কিংসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করল দিল্লি ক্যাপিটালস।
শার্দুল ঠাকুর, মইন আলি, ডোয়েন ব্রাভোদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করে দিল্লির জয়ের রাস্তা গড়ে দেন শিখর ধবন। ৫৪ বলে ১০টি চার ও ২ টি বিশাল ছক্কার সাহায্যে ৮৫ রানের চোখধাঁধানো ইনিংস খেলেন শিখর। আর ১৮৯ রানের টার্গেট টানা করতে নেমে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন পৃথ্বী শা। ৩৮ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন পৃথ্বী। শিখরের সঙ্গে ১৩৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়েন মুম্বইয়ের ছেলে পৃথ্বী। তিনি আউট হয়ে ফিরে গেলেও দিল্লিকে জয়ের কার্যত দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন শিখর ধবন। প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সময় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ নিয়ে চেনা থাই-ফাই সেলিব্রেশনেও মাততে দেখা যায় শিখরকে।
শিখর ফিরে গেলে বাকি কাজটা মার্কাস স্টোইনিসকে নিয়ে সেরে ফেলে আইপিএলের মঞ্চে তাঁর অধিনায়কত্বে প্রথম ম্যাচে জেতার বাকি কাজটা সেরে ফেলেন ঋষভ পন্থ (অপরাজিত ১৫)। ৮ বল বাকি থাকলেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় দিল্লি শিবির।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋষভ। ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৮ রান তোলে। যার ব্যাটিংয়ের দিকে গোটা দেশ তাঁকিয়ে ছিল সেই মহেন্দ্র সিং ধোনি অবশ্য ১৬০ দিন পর ক্রিজে ফিরে হতাশ করেন। মাত্র দুই বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল ক্যাপ্টেন কুলকে।
চেন্নাই যে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৮৮/৭-এর মতো ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছতে পেরেছিল তার নেপথ্যে ছিলেন সুরেশ রায়না। আইপিএলে অনবদ্য সব রেকর্ডের জন্য যাঁর নামকরণই হয়ে গিয়েছে মিস্টার আইপিএল। গত মরসুমে অবশ্য ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মাটিতে ত্রয়োদশ আইপিএলে দেখা যায়নি তাঁকে। এর জন্য অনেক সমালোচনাও হজম করতে হয়েছিল। এবার তিনি ফিরলেন। আর ব্যাট হাতে প্রথম ম্যাচেই জ্বলে ওঠেন। মাত্র ৩৬ বলে ৫৪ রান করলেন রায়না। মারলেন তিনটি চার ও চারটি বিশাল ছক্কা।
তবে যদিও তাঁর ও চেন্নাইয়ের খাড়া করা স্কোর সহজেই টেক্কা দিয়ে ম্যাচ জিতে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস।