মুম্বই: আইপিএল মানেই প্রতি ম্যাচেই নতুন কিছু না কিছু রেকর্ড ভাঙাগড়ার মুহূর্ত। রবিবারীয় ওয়াংখেড়েতে এদিন মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাত টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। অন্য়দিকে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রেবোর্নে আমনে, সামনে হয়েছিল লখনউ সুপারজায়ান্টস ও রাজস্থান রয়্যালস। তবে প্রথম ম্যাচের সময়ই নতুন রেকর্ড হয়ে গেল। এবারের মরসুমেই আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক ছক্কা হাঁকিয়েছে ব্যাটাররা। চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত লিগ পর্যায়ই শেষ হয়নি। আগের ১৪ মরসুমের মধ্যে এক মরসুমে সর্বাধিক ছক্কা এসেছিল ২০১৮ সালে। সেবার ৮৭২টি ছক্কা এসেছিল। এবার গুজরাত বনাম চেন্নাই ম্যাচের আগে পর্যন্তই ৮৭৩টি ছক্কা এসে গিয়েছিল। 


কোন মরসুমে কতগুলো ছক্কা এসেছে?


এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ২০১২ সালে ৭৩১টি ছক্কা এসেছিল। ২০২০ মরসুমের আইপিএলে ৭৩৪টি ছক্কা এসেছিল। ২০১৮ সালে আট দলের ক্রিকেটার মিলে মোট ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ৮৭২টি। ২০১৯ সালে মোট ছক্কা এসেছিল ৭৮৪টি। সেই সব মরসুমের রেকর্ডই ভেঙে গিয়েছে এরমধ্যেই। 


ঋদ্ধির অপরাজিত ৬৭, গুজরাতের জয়


এদিন প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে খুব একটা কাজে লাগাতে পারলেন না চেন্নাইয়ের ব্য়াটাররা।এবারের আইপিএলে ওপেনিংয়ে নেমে প্রতি ম্যাচেই গুজরাতের শুরুটা দারুণ করে দিচ্ছেন ঋদ্ধিমান। এদিনও তার ব্য়তিক্রম হল না। শুভমন গিল এদিন ব্যর্থ হলেও ঋদ্ধি ছিলেন শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে। পাওয়ার প্লে দারুণভাবে কাজে লাগালেন পাপালি। অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ১৩৪ রান মাত্র। আর সেই রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৭ ওভারেই ৬০ রান বোর্ডে তুলে ফেলেছিল গুজরাত। গিল ১৭ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান। তবে আটকানো যায়নি ঋদ্ধিমানকে। তিনি ৮টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৭ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ রান করে ওয়েড ও ৭ রানে আউট হন হার্দিক। মিলার ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৯.১ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় গুজরাত।