মুম্বই: চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে কলকাতায় পা রাখতে চলেছে গুজরাত টাইটান্স। আগেই প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। এদিন ধোনির দলকে হারিয়ে ২৪ তারিখ ইডেনে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত করে ফেলল হার্দিক পাণ্ড্যর দল। অপরাজিত অর্ধশতরান হাঁকালেন ঋদ্ধিমান সাহা। ৫ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলল গুজরাত। এদিকে ১৩ নম্বর ম্যাচ খেলে ৯টি হার দেখতে হল ধোনি বাহিনীকে। 


ঋদ্ধির অপরাজিত ৬৭, গুজরাতের জয়


এবারের আইপিএলে ওপেনিংয়ে নেমে প্রতি ম্যাচেই গুজরাতের শুরুটা দারুণ করে দিচ্ছেন ঋদ্ধিমান। এদিনও তার ব্য়তিক্রম হল না। শুভমন গিল এদিন ব্যর্থ হলেও ঋদ্ধি ছিলেন শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে। পাওয়ার প্লে দারুণভাবে কাজে লাগালেন পাপালি। অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ১৩৪ রান মাত্র। আর সেই রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৭ ওভারেই ৬০ রান বোর্ডে তুলে ফেলেছিল গুজরাত। গিল ১৭ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান। তবে আটকানো যায়নি ঋদ্ধিমানকে। তিনি ৮টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৭ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ রান করে ওয়েড ও ৭ রানে আউট হন হার্দিক। মিলার ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৯.১ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় গুজরাত।


১৩৩-এ আটকে গিয়েছিল সিএসকে


টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে খুব একটা কাজে লাগাতে পারলেন না চেন্নাইয়ের ব্য়াটাররা। একমাত্র ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড ছাড়া কেউই রান পেলেন না সেভাবে। ওপেনিংয়ে নেমে ফর্মে থাকা কনওয়ে ৫ রান করে শামির বলে ফিরে গেলেন। মঈন আলিকে নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন রুতুরাজ। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। তবে উল্টোদিকে যোগ্য সঙ্গ পাননি। ৪৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্য়াটার। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান রুতুরাজ। উল্টোদিকে যদিও পরপর উইকেট পরতে থাকেন। ২১ রান করে আউট হন মঈন আলি। জগদীশান ৩৩ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। নিজের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানই বোর্ডে তুলতে সক্ষম হয় চেন্নাই সুপার কিংস।