মুম্বই: একেই মনে হয় বলে মধুর প্রতিশোধ। তাঁকে যে দল উপেক্ষা করেছিল, সেই দলের বিরুদ্ধেই বিধ্বংসী ফর্মে ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। ৫৮ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। ২১ রানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে দিল দিল্লি। সেই সঙ্গে ফের ঢুকে পড়ল প্লে অফের দৌড়ে। ১০ ম্যাচের শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পাঁচ নম্বরে দিল্লি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় ছয়ে রয়েছেন কেন উইলিয়ামসনরা।


গতবারের ক্ষত


গতবারের আইপিএলটা (IPL) হয়তো কোনওদিন ভুলতে পারবেন না ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। প্রথমে তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরিবর্তে অধিনায়ক করা হয় কেন উইলিয়ামসনকে (Kane Williamson)। সেখানেই শেষ নয়। এরপর প্রথম একাদশ থেকেই ছেঁটে ফেলা হয়। ওয়ার্নারের মতো বিধ্বংসী ব্যাটার গ্যালারিতে বসে দলের খেলা দেখতেন।


তখন থেকেই কার্যত বোঝা গিয়েছিল যে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (SRH) শেষ মরসুম খেলছেন ওয়ার্নার। তাঁর নেতৃত্বেই আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল হায়দরাবাদ। তবে ওয়ার্নারে মোহভঙ্গ হয় দলের। তাঁকে রিটেন করা হয়নি। দিল্লি ক্যাপিটালস  (DC) নিলাম থেকে কিনে নেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ককে। বৃহস্পতিবার ওয়ার্নার নেমেছিলেন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেই। আর ব্যাটেই যেন সব উপেক্ষার জবাব দিলেন। এবারের আইপিএলে সাড়া ফেলে দেওয়া পেসার উমরন মালিকের ৪ ওভারে উঠল ৫২ রান।


হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৫৮ বলে ৯২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন অজি তারকা। তাঁর ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও তিনটি ছক্কা। ওয়ার্নারের মতোই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন রোভম্যান পাওয়েল। মাত্র ৩৫ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৩টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন ক্যারিবায়ন তারকা। প্রথমে ব্যাট করে বিরাট স্কোর তোলে দিল্লি। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে দিল্লি। হায়দরাবাদের সামনে জয়ের জন্য ২০৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলেন ওয়ার্নাররা।


টস জেতেন উইলিয়ামসন


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। চলতি আইপিএলে কার্যত ম্য়াচ জেতার ফর্মুলাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, টস জেতো, বিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে পাঠাও। তারপর রান তাড়া করো। এবারের আইপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের দুই শহর মুম্বই ও পুণেতে। সন্ধের পর থেকে শিশির পড়ছে। তাই পরের দিকে বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়ছেন বোলাররা। সব অধিনায়কই তাই চাইছেন শুরুতে ফিল্ডিং করে নিতে। এবং রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের শিশির সমস্যার ফায়দা তুলতে। উইলিয়ামসনও যে নিয়মের ব্যতিক্রম হতে দেননি।


রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে হায়দরাবাদ। এইডেন মারক্রাম (২৫ বলে ৪২ রান) ও নিকোলাস পুরান (৩৪ বলে ৬২ রান) লড়াই করলেও ১৮৬/৮ স্কোরে আটকে যায় হায়দরাবাদ।