মুম্বই: সামনে লক্ষ্য ১৭৮ রানের। আর সেই রান তাড়া করতে নেমে ৯.৪ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC) স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৭২/৫। ক্রিজে শার্দুল ঠাকুর ও ললিত যাদব। ম্যাচ জিততে ৬২ বলে তখনও ১০৬ রান প্রয়োজন। ঋষভ পন্থ-সহ তাবড় সব ব্যাটাররা ড্রেসিংরুমে। অতি বড় দিল্লির সমর্থকও ভাবতে পারেননি যে, সেখান থেকে ম্যাচ জেতা সম্ভব। বিশেষ করে বিপক্ষ বোলিং আক্রমণে যখন যশপ্রীত বুমরার মতো ঘাতক বোলার রয়েছে।


কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুললেন দিল্লির লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই শুরু করলেন শার্দুল ঠাকুর। ১১ বলে ২২ রান করে ফেরেন তিনি। ক্রিজে নেমে অক্ষর পটেলও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। ১৭ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ললিত যাদব ৩৮ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ১০ বল বাকি থাকতে চার উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি।


দুরন্ত ইনিংস ঈশানের


তাঁকে রেকর্ড অর্থে কিনেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। আইপিএলের (IPL) ইতিহাসে যুবরাজ সিংহ ছাড়া কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার এত বেশি টাকা পাননি। ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan) দেখিয়ে দিলেন, তাঁর জন্য টাকা খরচ করে ভুল করেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রবিবার একদিক থেকে যখন কুলদীপ যাদব একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে স্পিনের জাল বিছিয়ে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষ শিবিরে, তখন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সেই জাল কেটে বেরলেন ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটার। ৪৮ বলে ৮১ রানে অপরাজিত রইলেন ঈশান। তাঁর ব্যাটের দাপটে শুরুতে পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়ার পরেও শেষ পর্যন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে বড় রান তুলল মুম্বই। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে মুম্বইয়ের স্কোর দাঁড়ায় ১৭৭/৫।


গত আইপিএলে মুখ থুবড়ে পড়েছিল মুম্বই। প্লে অফের যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেননি রোহিত শর্মারা। এবার ঢেসে দল সাজিয়েছে মুম্বই। নিলামের আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল হার্দিক পাণ্ড্যর মতো তারকাকে। তবে ঈশানকে নিলামের টেবিল থেকে কিনে শিবিরে ফিরিয়েছিল মুম্বই। তার দামই যেন এদিন দিলেন তরুণ ক্রিকেটার। বুঝিয়ে দিলেন, এবারের আইপিএলেও তিনি প্রতিপক্ষ বোলারদের বিব্রত করবেন।


ছন্দে রোহিতও


ইনিংস ওপেন করতে নেমে রান পেয়েছেন রোহিতও। ৩২ বলে ৪১ রান করেন তিনি। দুই ওপেনার ৮.২ ওভারে ৬৭ রান যোগ করেন। মুম্বই এদিন খেলিয়েছে তিলক বর্মাকেও। যিনি প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়লেন। ১৫ বলে ২২ রান করে ফিরলেন।


স্পিন-জাল


রবিবার আইপিএলে দাপট দেখালেন কুলদীপ যাদবও (Kuldeep Yadav)। যিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে অনেক ম্যাচের মোড় ঘোরানো স্পেল করেছেন। তবে তাঁকে এবার ধরে রাখেনি কেকেআর। নিলাম থেকে তাঁকে দলে নেয় দিল্লি। এবারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচে কুলদীপও যেন দেখিয়ে দিলেন, ম্যাজিক দেখাতে তৈরি। ম্য়াচের সেরাও হয়েছেন কুলদীপ।


নাটকীয় ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ভারত