কলকাতা: বৃষ্টির আশঙ্কায় গোটা মাঠ তখন প্লাস্টিকে ঢাকা। মাঝে শুধু পিচের অংশটার কভার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে রোদ-হাওয়া পেয়ে উইকেট শুকনো থাকে। আর্দ্রতা বেশি না হয়ে যায়।


ইডেনের (Eden Gardens) মাঠ ও উইকেটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ তদারকি করছিলেন সুজন মুখোপাধ্যায় (Sujan Mukherjee)। ইডেনের কিউরেটর তথা বোর্ডের পিচ কমিটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান বললেন, 'ইডেনে দশটি পিচে দশটি করে ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। তাই তাজা উইকেট বলব না। তবে ইডেনের পিচে বাউন্স ও গতি, দুইই থাকবে। ব্যাটাররা দাঁড়িয়ে গেলে আর বাউন্স সামলে দিতে পারলে বড় রান উঠবে। কারণ বল পড়ে ভালভাবে ব্য়াটে আসবে। স্ট্রোকপ্লেয়াররা এই পিচে খেলতে পছন্দ করবে।'


উইকেটে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকবে না বলেই জানালেন সুজন। দিয়ে রাখলেন বড় রানের পূর্বাভাস। যা শুনলে উল্লসিত হবেন হার্দিক পাণ্ড্য, জস বাটলার, বিরাট কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের মতো স্ট্রোকপ্লেয়াররা। দর্শকরাও বড় স্কোরের ম্যাচ ও চার-ছক্কার ফুলঝুরি দেখার অপেক্ষায় থাকবেন।


তবে রয়েছে বৃষ্টির কাঁটাও। শনিবারের কালবৈশাখীর রেশ এখনও কাটেনি। রবিবারও সারাদিন আকাশের মুখ ছিল ভার। সপ্তাহের শুরুতেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। সব মিলিয়ে আড়াই বছর পর ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) আইপিএলের (IPL) ম্যাচ, আর সেই ম্যাচই কি না ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা!


করোনার ধাক্কায় এমনিতেই দেড় বছর দেশের মাটিতে আইপিএল হয়নি। গতবার দেশের মাটিতে আয়োজিত হলেও জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে করোনা দলগুলির অন্দরমহলে হানা দেওয়ায় মাঝপথে টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মরুদেশে গিয়ে শেষ করা হয় অর্ধসমাপ্ত আইপিএল। এবার সেই পরিস্থিতি এড়াতে মুম্বইয়ের তিনটি মাঠ ও পুণেতে আয়োজিত হয়েছিল আইপিএল। তবে প্লে অফতের তিন ম্যাচ ও ফাইনাল হচ্ছে অন্য শহরে। কোয়ালিফায়ার ওয়ান ও এলিমিনেটর হচ্ছে কলকাতায়। কোয়ালিফায়ার টু ও ফাইনাল আমদাবাদে।


কলকাতায় দুটি প্লে অফ ম্যাচ ২৪ ও ২৫ মে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, ওই দুদিনই রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। যা আয়োজক সিএবি কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে।


আরও পড়ুন: শহরে থেকেও মেয়ের জন্মদিনে থাকা হচ্ছে না ঋদ্ধির, হোটেলেই যাবে খাবার-কেক