কলকাতা: হার্দিক পাণ্ড্য। চলতি আইপিএলে (IPL) স্ট্রাইক রেট ১৩১.৫২। রাহুল তেওয়াটিয়া। স্ট্রাইক রেট ১৪৭.৬১। ডেভিড মিলার। স্ট্রাইক রেট ১৩৬.০৭। রশিদ খানের স্ট্রাইক রেট ২০৬.৮১।


আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের (GT) চালিকাশক্তি ডেথ ওভারে পাওয়ার হিটিং। কোনও ম্যাচে হার্দিক তো কোনও ম্যাচে তেওয়াটিয়া, কখনও আবার রশিদ খান, প্রতিপক্ষ বোলিংকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছেন। অবিশ্বাস্যভাবে ছিনিয়ে আনছেন ম্যাচ।


আর আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি আটকাতে তৎপর রাজস্থান রয়্যালস (RR) শিবির। তৈরি হচ্ছে কৌশল। আর সেই অঙ্ক তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাঁকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি পরিচিত ছিলেন স্লগ ওভার স্পেশালিস্ট হিসাবে। তাঁর মতো নিখুঁত ইয়র্কার করতে ক্রিকেটবিশ্বে বড় একটা কাউকে দেখা যায়নি। এমনকী, বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ইয়র্কার করা বোলার যশপ্রীত বুমরাও তাঁর দক্ষতা আরও ধারাল হয়ে ওঠার নেপথ্যে কৃতিত্ব দিয়ে থাকেন তাঁকে।


তিনি, লাসিথ মালিঙ্গা (Lasith Malinga)। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন পেসার। এবারের আইপিএলে যিনি রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং কোচ। সোমবার সন্ধ্যায় ইডেনে তিনি বিশেষ ক্লাস নিলেন ট্রেন্ট বোল্ট, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণদের।


সোমবার নৈশালোকের ইডেনে তখন রাজস্থান রয়্যালসের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। মাঝ পিচে দেখা গেল, আম্পায়ারের জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন মালিঙ্গা। আর তাঁর শ্যেন দৃষ্টির সামনে একের পর এক ইয়র্কার করে চলেছেন বোল্ট ও কৃষ্ণ। মাঝে মধ্যেই মালিঙ্গা এগিয়ে গিয়ে তাঁদের পরামর্শ দিচ্ছেন।


রাজস্থান শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, গুজরাতের ডেথ ওভার ব্যাটিংকে বেশ সমীহ করা হচ্ছে। এবং হার্দিক, মিলার, তেওয়াটিয়া, রশিদদের পাওয়ার হিটিং থামানোর জন্য বিশেষ অঙ্ক কষছেন মালিঙ্গা। যাঁর মন্ত্র হল, নিখুঁত ইয়র্কার করো। যাতে ব্যাটার হাত খোলার সুযোগই না পায়। বোল্ট-কৃষ্ণরা তারই প্রস্তুতি সেরে রাখলেন।


হার্দিক-মিলার-তেওয়াটিয়ারা তৈরি তো?


আরও পড়ুন: বায়ো বাবলের কড়াকড়ি, মাঝরাতে ভিডিও কলে মেয়েকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন ঋদ্ধিমান