কলকাতা: একটা সময় মনে করা হতো, তিনি টেস্টে যতটা কার্যকরী, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ততটা নন। এবারের আইপিএলে (IPL) অবশ্য সব হিসেব নিকেশ বদলে দিচ্ছেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। ১২ ম্যাচে ১৬ উইকেট। পার্পল ক্যাপ জেতার দৌড়ে রয়েছেন গুজরাত টাইটান্সের পেসার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কেরিয়ারে যেখানে ওভার প্রতি ৯.৫৪ রান খরচ করেছেন, এবারের আইপিএলে সেখানে শামির ইকনমি রেট মাত্র ৭.৫৭।
কোন মন্ত্রে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এত ধারাল হয়ে উঠেছে আপনার বোলিং? চলতি আইপিএলে প্রথম দল হিসাবে গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans) প্লে অফের যোগ্যতা নিশ্চিত করার পর বাংলার পেসারের কাছে জানতে চেয়েছিল এবিপি লাইভ। শামি অবশ্য ইকনমি রেট নিয়ে ভাবতে নারাজ। তিনি বেশি করে ভাবেন উইকেট তোলার কথা। যে দক্ষতার জন্য অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যর ভরসা হয়ে উঠেছেন আইপিএলে।
মুম্বই থেকে জুম কলে শামি বললেন, 'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটা গোটা মরসুমে শুধু ইকনমি দেখলে চলে না। দেখতে হবে আপনি বোলারকে কোথায় বল করাচ্ছেন। বেশিরভাগ সময়ই পেসারদের পাওয়ার প্লে-তে বল করানো হয়। সেখানে রান খরচ হলে তা নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত বলে মনে করি না। পাওয়ার প্লে-তে উইকেট তুলতে হবে সেই চাপ থাকে।' শামি যোগ করেছেন, 'হ্যাঁ, সবাই মাথায় রাখে যাতে খুব বেশি রান বেরিয়ে না যায়। ইকনমি রেট নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। কিন্তু সব মাঠের পরিবেশ-পরিস্থিতি এক হয় না। এক একদিন এক একরকম খেলা হয়। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাট এমন যে, সেখানে ভাবার ফুরসতই পাওয়া যায় না। সব নিয়মও পেসারদের পক্ষে কঠিন। আমার কাছে সেই নির্দিষ্ট দিনে কে কেমন পারফর্ম করল সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইকনমি রেট নয়। কোনও আগ্রাসী ফাস্টবোলারের ইকনমি ৮ বা ৮.৫ এর কম নয়।'
গুজরাত টাইটান্সের আইপিএলের কোয়ালিফায়ার ওয়ান খেলার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে ২৪ মে শামিকে ঘরের মাঠ ইডেনে বল করতে দেখা যেতে পারে। এমনকী, বোল্ড শামি কট সাহা কম্বিনেশনও ফিরতে পারে ইডেনে। শামিও তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বলছেন, 'বাংলা থেকেই আমার ক্রিকেট সফর শুরু। ইডেন আমার হোমগ্রাউন্ড। ইডেনে সবসময় সমর্থন পেয়ে এসেছি। আশা করছি প্লে অফেও আমরা ক্রিকেটপ্রেমীদের সমর্থন পাব।'
আরও পড়ুন: রিঙ্কুকে ডিআরএস নিতে দিলেন না আম্পায়ার, বিতর্কে কী বলছেন কেকেআর সমর্থকেরা