মুম্বই: অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। বোলাররা কাজ নিঁখুতভাবে করেছিলেন। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেও চাপে পড়ে গিয়েছিল একটা সময় কলকাতা নাইট রাইডার্স। টানা ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকেই নিজের পুরনো মেজাজে দেখা দিলেন আন্দ্রে রাসেল। প্রতিপক্ষ বোলারদের গলিস্তরে নামিয়ে এনে ম্যাচে ঝোড়ো অর্ধশতরান হাঁকালেন রাসেল। ম্যাচেও কলকাতাকে জয় এনে দিলেন হেসেখেলে।
কলকাতার ব্যাটিং
১৩৮ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রাহানে, ভেঙ্কটেশ, শ্রেয়স, রানাদের হারিয়ে তখন বেশ বিপাকে নাইটরা। কিন্তু সেখান থেকেই বিলিংসকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব শুরু আন্দ্রে রাসেলের। শুধু খেললেনই না। একেবারে এলেন, খেললেন আর জয় করলেন মাঠে ও মাঠের বাইরে দর্শকদের মনও। গ্যালারিতে আছড়ে পড়ল একের পর এক ছক্কা। ৮টি ছক্কা ও ২টো বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১ বলে ৭০ বলে অপরাজিত অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে ৩৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচে কলকাতাকে জয় এনে দিলেন রাসেল। বিলিংসও যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ২৪ রানে অপরাজিত থাকলেন।
পাঞ্জাবের ব্যাটিং
ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন শিখর ধবন ও ময়ঙ্ক অগ্রবাল। কিন্তু প্রথম ওভারেই মাত্র ১ রান করেই আউট হলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। এরপর থেকে পরপর উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। শিখর ধবন ১৬ রান করে টিম সাউদির বলে বিলিংসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তিন নম্বরে নেমে ৯ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন ভানুকা রাজাপক্ষে। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেন শিভম মাভি। লিভিংস্টোন ১৯ রান করে, ফিরে যান। নারিন ফিরিয়ে দেন রাজ বাওয়াকে। আগের ম্যাচে ব্যাটে ঝড় তোলা শাহরুখ খান খাতা খোলার আগেই টিম সাউদির বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত ১৮.২ ওভারে মাত্র ১৩৭ রানে অল আউট হয়ে যায় পাঞ্জাব কিংস।
উমেশের ৪ উইকেট
শুক্রবার ৪ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন উমেশ। এই নিয়ে পঞ্জাবের দলের বিরুদ্ধে মোট ৯ বার ৩ বা তার বেশি উইকেট নিলেন কলকাতার তারকা পেসার। এমন রেকর্ড আর কোনও বোলারের নেই। কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অন্য বোলারদের ৩ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ৫ বারের বেশি নেই। ময়ঙ্ক, লিভিংস্টোন ছাড়াও হরপ্রীত ও রাহুল চাহারের উইকেট তুলে নেন উমেশ যাদব।