পুণে: শেষ তিন ওভারে ম্যাচ জিততে দরকার ৪৮ রান। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভারের শেষে গুজরাত টাইটান্স (CSK vs GT) তখন ১২২/৫। ক্রিজে জমে যাওয়া ডেভিড মিলার ও সদ্য ব্যাট করতে নামা রশিদ খান। অতি বড় গুজরাত সমর্থকও হয়তো ভাবতে পারেননি যে, এই ম্যাচ এরকম দাপট দেখিয়ে জিতবে প্রিয় দল।


অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ঝড়


যেটা কার্যত অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল, সেটাই সম্ভবপর করে দেখালেন রশিদ ও মিলার। মাত্র ১৭ বলেই ৪৮ রান তুলে ফেললেন দুজনে। শুরুটা করেছিলেন রশিদ। ক্রিস জর্ডানের এক ওভারে তিনটি ছক্কা ও একটি চার মেরে ২৫ রান তুলেছিলেন। সেই সঙ্গে শিবিরে বিশ্বাস তৈরি করে দিয়েছিলেন যে, এই ম্যাচ জেতা সম্ভব। ২১ বলে ৪০ রান করে তিনি ফিরলেও কার্যসিদ্ধি করেন মিলার। যিনি ৫১ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ১৯.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গুজরাত। ৬ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে তারা।


সিএসকে-র আর আর আর


বলিউডে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে এস এস রাজামৌলির সিনেমা আর আর আর। বক্স অফিস কাঁপিয়ে ব্যবসা করছে দক্ষিণী এই ছবি।


রবিবার আইপিএলের (IPL) বাইশ গজে দক্ষিণের দলের ত্রাতা হয়ে উদয় হলেন আর আর আর। রুতুরাজ গায়কোয়াড়, অম্বাতি রায়াডু ও রবীন্দ্র জাডেজা। তিন আরের ব্যাটের দাপটে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১৬৯/৫। চোটের জন্য এদিন গুজরাত টাইটান্সের(GT) হয়ে খেলছেন না অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। তাঁর পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান (Rashid Khan)। চেন্নাইকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকতে গুজরাতকে তুলতে হতো ১৭০ রান।


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গুজরাতের অধিনায়ক রশিদ। চলতি আইপিএলে কার্যত ম্য়াচ জেতার ফর্মুলাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, টস জেতো, বিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে পাঠাও। তারপর রান তাড়া করো। এবারের আইপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের দুই শহর মুম্বই ও পুণেতে। সন্ধের পর থেকে শিশির পড়ছে। তাই পরের দিকে বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়ছেন বোলাররা। সব অধিনায়কই তাই চাইছেন শুরুতে ফিল্ডিং করে নিতে। এবং রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের শিশির সমস্যার ফায়দা তুলতে। রশিদও যে নিয়মের ব্যতিক্রম হতে দেননি।


শুরুর ধাক্কা


মহম্মদ শামি শুরুতেই আগুনে স্পেল করেন। তাঁর বলে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন রবিন উথাপ্পা। শেষ পর্যন্ত ১০ বলে মাত্র ৩ রান করে ফেরেন উথাপ্পা। রান পাননি মঈন আলিও (১)। কিন্তু এরপরই পাল্টা লড়াই শুরু রুতুরাজ ও অম্বাতি রায়ডুর। ৪৮ বলে ৭৩ রান করার ফাঁকে ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা মেরেছেন রুতুরাজ। রায়ডু ৩১ বলে করেন ৪৬ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও জোড়া ছক্কা। শেষ দিকে ১২ বলে দুটি ছক্কা মেরে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন জাডেজা।


গুজরাত বোলারদের মধ্যে শামি ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করেন। নিয়েছেন একটি উইকেট। আলজারি জোসেফ ৩৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। যশ দয়ালের একটি উইকেট। শেষ হাসি হাসলেন অবশ্য রশিদরাই।


আরও পড়ুন: অ্যাসিডে দগ্ধ শ্বাসনালী, দশ বছর পর ময়দানে ফিরে তাক লাগালেন রায়না-পাঠানদের সতীর্থ