মুম্বই: দিনের শুরু দেখে সব সময় হয়তো শেষটা বোঝা যায় না। বিশেষ করে ক্রিকেটের মাঠে। যে খেলাকেই বলা হয় মহান অনিশ্চয়তার মঞ্চ। আর ফর্ম্যাট যদি হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, তবে অনিশ্চয়তাও বেড়ে যায় কয়েকগুন।


শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC) বিরুদ্ধে প্রথমে ব্য়াট করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB) তুলল ১৮৯/৫। অথচ একটা সময় মনেই হয়নি যে, আরসিবির স্কোর দেড়শো পেরবে। কারণ, শুরু থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। শুরুতেই ফিরে যান ফাফ ডুপ্লেসি, অনুজ রাওয়াত। মাত্র ১২ রান করে রান আউট হয়ে যান বিরাট কোহলিও। সেখান থেকে পাল্টা লড়াই শুরু করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৪ বলে ৫৫ রান করেন তিনি। পরের দিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন দীনেশ কার্তিক। ৩৪ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন বাংলার ক্রিকেটার শাহবাজ আমেদও। ২১ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। চলতি আইপিএলে কার্যত ম্য়াচ জেতার ফর্মুলাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, টস জেতো, বিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে পাঠাও। তারপর রান তাড়া করো। এবারের আইপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের দুই শহর মুম্বই ও পুণেতে। সন্ধের পর থেকে শিশির পড়ছে। তাই পরের দিকে বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়ছেন বোলাররা। সব অধিনায়কই তাই চাইছেন শুরুতে ফিল্ডিং করে নিতে। এবং রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের শিশির সমস্যার ফায়দা তুলতে। পন্থও যে নিয়মের ব্যতিক্রম হতে দেননি।


শুরুতে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণিত করছিলেন দিল্লির বোলাররা। কিন্তু ম্যাচ যত এগিয়েছে, দাপট দেখিয়েছেন আরসিবি ব্যাটাররা। ম্যাক্সওয়েল ৭টি চার ও জোড়া ছক্কা মেরে পাল্টা লড়াই শুরু করেন। তারপর বিপক্ষ শিবিরে আক্রমণের ঝাঁঝ পৌঁছে দেন কার্তিক। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৫ ছক্কা। দিল্লির বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট শার্দুল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব, খলিল আমেদ ও অক্ষর পটেলের।


টানা হাফ ডজন হার! মুম্বইকে ১৮ রানে উড়িয়ে দিল লখনউ