পুণে: মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের (MS Dhoni) ১৩ রানে হারিয়ে ফের প্লে অফের দৌড়ে ঢুকে পড়ল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)। পরপর তিন ম্যাচে হারের পর ২ পয়েন্ট লাভ। ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে উঠে এলেন বিরাট কোহলিরা। বুধবারের হারের পর চেন্নাই সুপার কিংস চাপে পড়ে গেল। ১০ ম্যাচের শেষে তাদের পয়েন্ট হল ৬। শেষ ৪ ম্যাচ জিতলেও প্লে অফে ওঠা জটিল অঙ্কের জাঁতাকলে আটকে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ১৭৩/৮ তাড়া করে ১৬০/৮ স্কোরে আটকে গেল সিএসকে। লড়াই করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৩৭ বলে ৫৬ রান করেন তিনি। ধোনি ২ রানে ফেরেন। রান পাননি রবীন্দ্র জাডেজা (৩), রবিন উথাপ্পা (১)। আরসিবি বোলারদের মধ্যে হর্ষল পটেল তিন উইকেট নিয়েছেন।
কার্তিক কেন ছয়ে
দীনেশ কার্তিককে (Dinesh Karthik) কেন ব্যাটিং অর্ডারের ওপরের দিকে পাঠানো হচ্ছে না, তা নিয়ে জোর চর্চা। অনেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (RCB) এই নীতির সমালোচনা করেছেন। আরসিবি শিবির থেকে যুক্তি ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছিল যে, শেষের দিকে কার্তিক থাকা মানে দলের ভরসা। শেষ সম্বল হয়ে তিনি লড়াই করতে পারবেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রান তাড়া করার সময় এই কৌশল কাজে আসতে পারে। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করার সময় কেন একই স্ট্র্যাটেজি আঁকড়ে ধরা হচ্ছে? কেন কার্কিতকে আগে পাঠিয়ে বিপক্ষ বোলিং আক্রমণকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হচ্ছে না!
ডিকে-মহীপালের ঝড়
বুধবার সেই বিতর্ক আরও উস্কে দিয়ে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৭ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত রইলেন ডিকে। চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আরসিবি তোলে ১৭৩/৮।
বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৩৩ বলে ৩০ রান করে তিনি মঈন আলির বলে ফেরেন। আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি ২২ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন। মহীপাল লোমরর ২৭ বলে ৪২ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও জোড়া ছক্কা। তিনিই আরসিবির সর্বোচ্চ স্কোরার।
চেনা ছক
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চলতি আইপিএলে কার্যত ম্য়াচ জেতার ফর্মুলাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, টস জেতো, বিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে পাঠাও। তারপর রান তাড়া করো। এবারের আইপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের দুই শহর মুম্বই ও পুণেতে। সন্ধের পর থেকে শিশির পড়ছে। তাই পরের দিকে বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়ছেন বোলাররা। সব অধিনায়কই তাই চাইছেন শুরুতে ফিল্ডিং করে নিতে। এবং রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের শিশির সমস্যার ফায়দা তুলতে। ধোনিও যে নিয়মের ব্যতিক্রম হতে দেননি।
সিএসকে বোলারদের মধ্যে মহেশ তিক্ষানা ২৭ রানে তিনটি ও মঈন আলি ২৮ রানে দুটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: চাপ নিয়ে মাঠে নামলে সেরাটা দেওয়া যায় না, আইপিএলে জ্বলে ওঠার পর বলছেন ঋদ্ধিমান