মুম্বই : নাটকীয় শেষপর্ব ও পাওয়েল-পাওয়ার টপকে দিল্লিকে টেক্কা রাজস্থানের। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১৫ রানে হারিয়ে সপ্তম ম্যাচে ৫ নম্বর জয় পেল রাজস্থান রয়্যালস। রান রেটের বিচারে তারা পৌঁছে গেল লিগ তালিকার শীর্ষেও। প্রথমে ২২২ রানের বড় স্কোর খাড়া করেছিল রাজস্থান। যদি্ও রান তাড়া করার পথে শেষপর্বে রোভম্যান পাওয়েলের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল তারা। যদিও শেষপর্যন্ত মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ বের করে নেয় রাজস্থান।


শেষ ওভারে নাটক


মাঠে কার্যত নাটক দেখা যায় খেলার একেবারে শেষে। শেষ ওভারের মাঝপথে দলকে ডাগআউটে ডেকে পাঠান ঋষভ পন্থ। শেষমেশ দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটিং কোচ শেন ওয়াটসন তাঁকে করেন শান্ত। নো-বল চেয়ে দিল্লি শিবিরের জোরালো আবেদন ও আম্পায়ারিং নিয়ে যার জেরে তৈরি হল বিতর্ক। খেলার শেষে একরাশ বিরক্তি নিয়ে দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ বলেই দিলেন, নো-বলটা আমাদের পক্ষে গেলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারত।


ইনিংসের শেষ ওভারে দিল্লির জিততে দরকার ছিল ৩৬ রান। কার্যত অসম্ভবের সামনে ওবেড ম্যাকয়ে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে পাওয়েল। তিন নম্বর বলটি নিয়েই তর্ক। তা পাওয়ালের কোমরের ওপরে ছিল বলেই দাবি জানায় দিল্লি শিবির। নো-বলের দাবি জানিয়েও না পেয়ে ব্যাটসম্যানদের ডেকেও নেন পন্থ! যদিও এই বিতর্কটুকু বাদ দিলে যোগ্য দল হিসেবেই ম্যাচ জিতল রাজস্থান। বিশেষ প্রশংসা করতে হয় প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ-র ১৯ তম ওভারের। একটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি কুলদীপকে ক্রিজে দাঁড় করিয়ে রেখে গোটা ওভার মেডেন নেন কেকেআরের প্রাক্তন পেসার।


বড় রানের টার্গেটের সামনে প্রথম থেকেই সেভাবে রান তাড়ার গতি বজায় রাখতে পারেনি দিল্লি শিবির। পৃথ্বী শা (৩৭) ডেভিড ওয়ার্নার (২৮) ভাল শুরু করেও ব্যর্থ হন বড় স্কোর খাড়া করতে। মাঝপথে ঋষভ পন্থ (৪৪) ও ললিত যাদব (৩৭) অল্প লড়াই করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শেষপর্বে রভম্যান পাওয়েল ১৫ বলে ৫ টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। যার সুবাদে শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৭ রান তোলে দিল্লি ক্যাপিটালস শিবির।






জস 'জবরদস্ত' বাটলারের সুবাদে রাজস্থানের বড় রান


প্রথমে ধিমে তালে শুরু, তারপর ঝোড় ব্যাটিং। ৬৫ বলে ৯ টি বাউন্ডারি ও সম সংখ্যক ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১১৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন জস বাটলার। ওয়াংখেড়ে (Wankhede Stadium) এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাটলারের তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২২২ রান তোলে। জস ও রাজস্থানের অপর ওপেনার দেবদত্ত পাড়িক্কল (Devdutta Padikkal) (৫৪) ঝোড়ো শুরু করেন। দু'জনে ওপেনিং পার্টনারশিপ ১৫৫ রান জোড়েন। তারপর অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (অপরাজিত ৪৬) বাটলারের সঙ্গে ঝোড়ো ব্যাটিং জারি রেখে দলকে বড় স্কোরে দাঁড় করান। দেবদত্ত ৩৫ বলে ৭টি বাউন্ডারি ও ২ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৫৪ রান। আর ১৯ বলে ৫টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কার সাহায্যে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন সঞ্জু।


আরও পড়ুন- দ্য ফাইনাল ওভার... ফিট মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, ঝলকে শেষ ওভারে মাহি-ম্যাজিক