পুণে: আইপিএলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস। জাডেজার পরিবর্তে ধোনি অধিনায়ক হিসেবে ফিরতেই জয়ের সরণীতে সিএসকে। রুতুরাজের ৯৯ রান। উমরান মালিকের মরসুমের দ্রুততম বল। দিল্লির বিরুদ্ধে লখনউয়ের জয়। দেখে নিন আজকের আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো একনজরে -
৯৯ রুতুরাজের, জয় সিএসকের
মাত্র ১ রানের জন্য শতরাম মিস করেছিলেন। কিন্তু দলকে দুশোর গণ্ডি পার করে দিয়েছিলেন। ডেভন কনওয়ের অপরাজিত ৮৮। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২০২ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২ ওপেনার অভিষেক শর্মা ও কেন উইলিয়ামসন শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছিলেন। বিশেষ করে অভিষেক ছিলেন মারমুখি মেজাজে। অভিষেক শর্মা ২৪ বলে ৩৯ রান করে আউট হন। পরের বলেই রাহুল ত্রিপাঠীর খাতা খোলার আগেই ফিরে যান। পরপর ২ বলে ২ উইকেট তুলে নেন মুকেশ চৌধুরী। এরপর মার্করমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান কেন উইলিয়াসন। চেষ্টা করেছিলেন বৈতরণী পার করার। কিন্তু পারলেন না। ৪৭ রান করে ফিরতে হয় তাঁকেও। নিকোলাস পুরান চালিয়ে খেলছিলেন লোয়ার অর্ডারে নেমে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৩৮ রান। কিন্তু পুরান ২৪ রানই তুলতে পারেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানই বোর্ডে তুলতে পারে হায়দরাবাদ।
উমরানের দ্রুতগতির বল
এদিন চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের ব্যাটিংয়ের সময় ১০ তম ওভারে একবার ১৫৪ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বল করেন। সেই সময় ক্রিজে ছিলেন রুতুরাজ ও কনওয়ে। এরপর ১৯ তম ওভারে আরও একবার ১৫৪ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করেন। সেই বলটি তিনি করেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। ম্যাচে যদিও ৪ ওভার বল করে ৪৮ রান দিলেও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি উমরান। তাঁর এবারের মরসুমে সেরা পারফরম্যান্স গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি।
রাহুলের অর্ধশতরান, লখনউয়ের জয়
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৫১ বলে ৭৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন এই কর্ণাটকী। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা হাঁকান রাহুল। বল হাতে লখনউয়ের মহসিন খান তুলে নিলেন ৪ উইকেট। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৬ রানে জয় পেল লখনউ সুপারজায়ান্টস। পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল লখনউ।