পুণে: মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যখনই যেখানে হাত দেন, সেখানেই না কি সোনা ফলে। এমন প্রবাদ ভারতীয় ক্রিকেটে বহু পুরনো। তবে কথাটা খুব একটা যে ভুল না তার প্রমাণ মিলল আরও একবার। রবীন্দ্র জাডেজার নেতৃত্বাধীন চেন্নাই এবারের আইপিএলের শুরু থেকেই ক্রমেই হেরে আসছিল। ৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ২ টো জয়। চাপ বাড়ছিল জাডেজার ওপরও। সেই চাপ কমাতে ও নিজের ফর্ম ফেরত পেতে অধিনায়কত্বের ব্যাটন হায়দরাবাদ ম্যাচের আগেই ফের জাডেজা তুলে নিয়েছিলেন ধোনির হাতে। আর ক্যাপ্টেন এমএসডি মাঠে ফিরতেই চেন্নাইও ফিরল স্বমহিমায়। ওপেনিং জুটির দেড়শোর ওপর পার্টনারশিপ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ২০২ রান তুলে নিল চেন্নাই সুপার কিংস। 


৯৯ রানে ফিরলেন রুতুরাজ


টস জিতে এদিন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। চেন্নাইয়ের হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন ডেভন কনওয়ে ও রুতুরাজ গায়কোয়াড। চলতি টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত সিএসকের ওপেনিং জুটি সেভাবে বড় রান পায়নি। প্লে অফের দৌড়ে ন্যূনতম টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হত। আর তার জন্য দরকার ছিল বোর্ডে বড় রান তুলে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা। ঠিক সেই কাজটাই করলেন রুতুরাজ ও কনওয়ে। শুরুতে একটু ধীর গতিতে কনওয়ে শুরু করলেও মারমুখি মেজাজে ছিলেন রুতুরাজ। কেরিয়ারের দ্বিতীয় আইপিএল শতরান আসছে, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯৯ রানের মাথায় পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিলেন। ৬টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান নিজের ইনিংসে রুতুরাজ। কনওয়ে যদিও ৫৫ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৮টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। ধোনি ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। 


সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলাররা এদিন প্রভাব ফেলতে পারলেন না। বিশেষ করে যাকে নিয়ে এত আগ্রহ ছিল সবার সেই উমরান মালিক ৪ ওভারে খরচ করলেন ৪৮ রান। কোনও উইকেট পাননি। শুধুমাত্র টি নটরাজন ২ উইকেট তুলে নিলেন।