মুম্বই: হাতের চোটের জন্য আইপিএলে আগামী ২ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলতে পারবেন না ওয়াশিংটন। দলের কোচ টম মুডি এই বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন। কমলা জার্সিধারীদের স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে এই মরসুমে খেলছিলেন সুন্দর। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৩ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে প্রথম ম্যাচে কোনও উইকেট পাননি সুন্দর। কিন্তু এরপরে ১১ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন। 


সোমবার গুজরাতের বিরুদ্ধে ম্য়াচে চোটের জন্য নিজের পুরো কোটার ওভার সম্পূর্ণ করতে পারেননি সুন্দর। ৩ ওভার করলেও কোনও উইকেট পাননি। যদিও তার মধ্যে ২ ওভার পাওয়ার প্লেতে করেছিলেন মাত্র ১৪ রান দিয়ে। 


সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জয়


গুজরাত টাইটান্সের (GT) জয়ের অশ্বমেধ সোমবার হ্যাঁচকা টানে থামিয়ে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH)। ৮ উইকেটে হার্দিকদের হারিয়ে দিলেন কেন উইলিয়ামসনরা (Kane Williamson)। ৫ বল বাকি থাকতে গুজরাত টাইটান্সের ১৬২/৭ স্কোর পেরিয়ে ১৬৮/২ তুলে দিল হায়দরাবাদ।


ওপেনারদের দাপট


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। হার্দিক পাণ্ড্যর অপরাজিত হাফসেঞ্চুরির সুবাদে ১৬২/৭ তোলে গুজরাত। রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য হায়দরাবাদের হাতে ম্যাচের রাশ তুলে দেন দুই ওপেনার কেন উইলিয়ামসন ও অভিষেক শর্মা। উইলিয়ামসন ৪৬ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। ৩২ বলে ৪২ রান অভিষেকের। হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ৫৩ বলে ৬৪ রান যোগ করেন। শেষ দিকে ১৮ বলে ৩৪ রান করে গুজরাত টাইটান্সের স্বপ্নে জল ঢেলে দেন নিকোলাস পুরান।


শামির বিরুদ্ধে চিৎকার করে হার্দিককে ট্রোল


ইনিংসের ১৩তম ওভারে নিজের সেকেন্ড স্পেলে ফিরে আসেন গুজরাত টাইটানসের অধিনায়ক পাণ্ড্য। সেই ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে তাঁকে পর পর ছক্কা মারেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এরপর অবশ্য উইলিয়ামসনের পার্টনার রাহুল ত্রিপাঠীকে ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ আসে গুজরাত টাইটানসের  কাছে। হার্দিকের ওভারের শেষ বলে আপার কাট মারেন রাহুল। যা ডিপ থার্ড ম্যানের দিকে উড়ে যায়। ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন মহম্মদ শামি। সামনের দিকে দৌড়ে এলে ক্যাচটা হয়তো ধরেও ফেলতেন শামি। কিন্তু, দৌড়ে না এসে যেখানে ছিলেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন শামি। উপরন্তু, বলটি ধরার জন্য কয়েক কদম পিছিয়ে যান। আর এতেই খাপ্পা হয়ে ওঠেন হার্দিক। শামির ফিল্ডিং দেখে চিৎকার করে ওঠেন তিনি।


কিন্তু, অল-রাউন্ডারের এহেন আচরণ মেনে নিতে পারেননি ফ্যানেরা। অনেকেই ট্যুইটারে সরব হন। কেউ কেউ লেখেন, কোনও দলের অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা নেই হার্দিকের। কেউ কেউ লেখেন, বিশ্বাসই হচ্ছে না হার্দিক পাণ্ড্য একজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে অপমান করলেন !