লখনউ: বয়স ৪০-র গণ্ডি পার করেছে। গত মরসুমের আইপিএলে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে দলেও নেয়নি। দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যানেজমেন্টের অংশ হওয়ার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, স্বপ্ন ছিল খেলোয়াড় হিসাবেই আইপিএলে পুনরায় অংশগ্রহণ করা। সেই লক্ষ্যে সফলও হয়েছেন অমিত মিশ্র (Amit Mishra)। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে (LSG vs SRH) ফের একবার দুর্দান্ত বোলিং করে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করলেন অমিত।
৪০-এও চমক
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে চার ওভারে মাত্র ২৩ রানের বিনিময়ে ওয়াশিংটন সুন্দর ও আদিল রশিদের উইকেট নেন অমিত। তবে শুধু বোলিং নয়, বয়স ৪০ উর্ধ্ব হলেও তাঁর ফিটনেস যে এতটুকুও কমেনি, তাঁর প্রমাণও দিলেন এই ম্যাচেই। ১৮তম ওভারে দুরন্তভাবে ছুটে গিয়ে রাহুল ত্রিপাঠীর ক্যাচ ধরেন অমিত। ম্যাচ শেষে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে লখনউয়ের তারকা বোলার বলেন, 'আমি নিজের বোলিং এবং ফিল্ডিং নিয়ে প্রচুর খাটা খাটনি করেছি। সেই খাটনির ফল পেয়ে খুব ভাল লাগছে। আমি জানতাম এই পিচে যদি জোরে বল করি, তাহলে ব্যাটাররা সহজেই আমার বিরুদ্ধে রান করতে পারবে। তাই বোলিংয়ে বৈচিত্র রাখতে চেয়েছিলাম। নিজের সবটা উজাড় করে দিয়েছি।'
ম্যাচের বিবরণ
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যখন প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১২১/৮ স্কোরে আটকে গিয়েছিল, তখনই বোঝা গিয়েছিল যে, ম্যাচ জেতার ব্যাপারে ফেভারিট কে এল রাহুল-মার্কাস স্টোইনিসের মতো ব্যাটার সমৃদ্ধ লখনউ। শেষ পর্যন্ত হলও তাই। ৪ ওভার বাকি থাকতে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয় তুলে নিলেন রাহুলরা। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে লখনউ। ১৬ ওভারৈেই হয়ে গেল ম্যাচের ফয়সালা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মারক্রাম। কিন্তু লখনউয়ের স্পিনারদের বিরুদ্ধে কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি।বাঁহাতি স্পিনার ক্রুণাল পাণ্ড্য ফিরিয়ে দেন ময়ঙ্ক অগ্রবালকে। অনমোলপ্রীত সিংহ (২৬) ও মারক্রামকেও (০) ফিরিয়ে দেন হার্দিক পাণ্ড্যর দাদা। রবি বিষ্ণোইয়ের বলে ৩ রান করে ফিরে যান হ্যারি ব্রুক। অমিত মিশ্র এক ওভারে তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দর (১৬) ও আদিল রশিদকে (৪)। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে ১০ বলে ২১ রান আব্দুল সামাদের। লখনউ বোলারদের মধ্যে মাত্র ১৮ রানে ৩ উইকেট ক্রুণালের। ২৩ রানে ২ উইকেট অমিত মিশ্রর। রবি বিষ্ণোইয়ের এক উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ রানের মধ্যে কাইল মেয়ার্স ও দীপক হুডার উইকেট হারালেও রাহুল (৩১ বলে ৩৫ রান) ও ক্রুণাল পাণ্ড্য (২৩ বলে ৩৪ রান) নিশ্চিত করে দেন যে, কোনও অঘটন ছাড়াই ম্যাচ জিতবে লখনউ।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষ শিবিরের কৌশল ফাঁস করে দেবেন তিন 'গুপ্তচর'? কী বলছেন কেকেআরের বোলিং কোচ?