নয়াদিল্লি : কেন উইলিয়ামসন প্রথম ম্যাচে চোট পাওয়ায় সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাটিংয়ের। তিন নম্বরে নেমে যে সত্যিই গুজরাত টাইটান্সের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হওয়ার ক্ষমতা তিনি রাখেন সেটাই বুঝিয়ে দিলেন সাই সুদর্শন। ভারতীয় এই ব্যাটারের দুরন্ত অর্ধশতরানের ভর করে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতল গুজরাত। একপ্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ৪৮ বলে অপরাজিত ৬২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন সুদর্শন। ১১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ বের করে নেয় তারা।
মাঝের ধাক্কা সামলে প্রথমে বিজয় শংকরের সঙ্গে তাঁর ৫০ রানের পার্টনারশিপ ও শেষপর্বে ডেভিড মিলারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সহজেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতল গুজরাত টাইটান্স। আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারানোর পর এবারর অ্যাওয়ে ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকেও হারিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা জোড়া জয় দিয়েই শুরু করল এবারের আইপিএল যাত্রা। অন্যদিকে প্রথম ম্য়াচে লখনউয়ের কাছে হারের পর এবার গুজরাত। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারতে হল দিল্লি ক্যাপিটালসকে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার (৩৭) ও ২২ বলে ২ টি চার ও ৩ টি ছক্কার সাহায্য়ে ৩৬ রানের অক্ষর প্যাটেলের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬২ রান তোলে দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এদিন ব্যর্থ হন গুজরাতের দুই ওপেনারই। প্রথমে ঋদ্ধিমান সাহা (১৪) ও তারপর শুভমন গিলকে (১৪) সাজঘরে ফেরান আনরিখ নর্জে (২/৩৯)। গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যকে (৫) বেশিক্ষণ টিকতে দেননি খলিল আহমেদ। খানিক চাপে মুখে বিজয় শংকরকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাত ইনিংসের হাল ধরেন সাই সুদর্শন। তারা জোড়েন ৫৩ রানের পার্টনারশিপ। শংকর আউট হয়ে যাওয়ার পর খেলতে নেমে বাকি কাজটা সহজেই সেরে ফেলেন ডেভিড মিলার। কিলার মিলার ১৬ বলে ২ টি চার ও ২ টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মাঝে অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ রিভিউ সিস্টেম নিয়ে উইকেট বাঁচান তিনি। কুলদীপ যাদবের বলে মিলারকে লেগ বিফোর দিয়েছিলেন অন ফিল্ড আম্পায়ার। রিভিউতে অবশ্য দেখা যায়, বল বেরিয়ে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। জীবনদান পেয়ে আর পিছনে তাকাননি মিলার। আর অপরদিকে, একপ্রান্ত শক্তভাবে আগলে রেখে দুরন্ত অর্ধশতরানে গুজরাতের জয় নিশ্চিত করার আসল কারিগর সাই সুদর্শন।
আরও পড়ুন- শামি, রশিদদের দাপট সামলে লড়াই ওয়ার্নার, অক্ষরদের, ১৬২ রানের লড়াকু স্কোর দিল্লির