মোহালি: কোনওদিন ময়ঙ্ক যাদব তো কোনওদিন শশাঙ্ক সিংহ, আশুতোষ শর্মা। আইপিএল দেখেছে নতুন নতুন মুখ কীভাবে আইপিএলের মত মঞ্চে নিজেদের জাত চিনিয়েছেন। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন নীতিশ রেড্ডি। গতকাল পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের নায়ক। কমলা ব্রিগেডকে একার হাতে ম্যাচে জয় এনে দেন এই তরুণ। ব্যাট হাতে ঝোড়ো অর্ধশতরানের পর বল হাতেও ১ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন নীতিশ। ম্যাচের পর সানরাইজার্স অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের মুখে নীতিশ বন্দনা।


গতকাল পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮২ রান তুলেছিল সাননাইজার্স হায়দরাবাদ। আর সেই রান বোর্ডে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল বছর কুড়ির নীতিশ রেড্ডির। ৩৭ বলে ৬৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। উল্লেখ্য, ময়ঙ্ক আগরওয়াল চোট না পেলে হয়ত খেলাই হত না নীতিশের। চেন্নাই ম্যাচে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে আইপিএল অভিষেক হয়েছিল। কামিন্স ব্রিগেড গতকাল খেলার শেষে বলেন, "অসাধারণ একটা ছেলে। গত সপ্তাহে দারুণ অভিষেক হয়েছিল ওর। সরাসরি টপ অর্ডারে উঠিয়ে নিয়ে আসা হয় নীতিশকে। দারুণ ব্যাটিং করল। ফিল্ডিংয়েও দারুণ। তিন ওভার বলও করেছে নীতিশ। ১৮০-র গণ্ডি যে পেরতে পারলাম তার কৃতিত্ব ওর প্রাপ্য।"


 






গতকাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে একটা সময়ে সানরাইজার্সের স্কোর ছিল ১৩.১ ওভারে ১০০/৫। সেখান থেকে নীতিশ ও সামাদ মিলে আরও বোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন। নীতিশ অর্ধশতরান করেন ও সামাদ ১২ বলে ২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। উনাদকাট শেষে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলের স্কোর একশো আশির গণ্ডি পেরিয়ে দেন। এছাড়া লোয়ার অর্ডারে আব্দুুল সামাদ ৭ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলেন। নীতিশ তাঁর ইনিংসে মোট ৪টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা হাঁকান। অন্যদিকে সামাদ ৫টি বাউন্ডারি হাঁকান। 


জবাবে ব্যাট করতে নেমে আগের ম্য়াচে পাঞ্জাবকে জেতানো শশাঙ্ক সিংহ ও আশুতোষ শর্মা ম্য়াচ জিতিয়ে দিচ্ছিলেন এদিনও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২ রান পেছনেই ইনিংস শেষ করতে হয় পাঞ্জাবকে। ১৮০ রানই বোর্ডে তুলতে পারে তারা।