ধর্মশালা: বোলাররা কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন। হর্ষল, রাহুলরা দুরন্ত বোলিং করে সিএসকেকে মাত্র ১৬৭ রানের মধ্যে আটকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটাররা পারলেন না ভরসা জোগাতে। যার ফলে নিজেদের ঘরের মাঠে সিএসকের বিরুদ্ধে ম্য়াচ হেরে প্লে অফের রাস্তা একেবারে কঠিন করে ফেলল প্রীতি জিন্টার পাঞ্জাব কিংস। ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৩৯ রানেই থেমে গেল পাঞ্জাবের ইনিংস। দুরন্ত বোলিং করলেন রবীন্দ্র জাডেজা ও মিচেল স্যান্টনার। ২ অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার স্পিনের সামনে কোনও জবাবই ছিল না বেয়ারস্টাে, কারানদের।


১৬৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল পাঞ্জাব কিংস। প্রভসিমরণ সিংহয়ের সঙ্গে জনি বেয়ারস্টো নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। চেন্নাইয়ের হয়ে প্রথম ওভার বল করতে আসেন মিচেল স্যান্টনার। মাত্র ২ রান খরচ করেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে তুষার দেশপাণ্ডে বোল্ড করে দেন বেয়ারস্টোকে। সাত রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর রিলি রসৌ খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। প্রভসিমরণের সঙ্গে এরপর জুটি বাঁধেন পাঞ্জাবের জার্সিতে চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে ব্যাটিং করা শশাঙ্ক সিংহ। তিনি ২৭ রান করেছিলেন। ২০ বলের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। তবে স্যান্টনারের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান শেষ পর্যন্ত। জিতেশ শর্মাও শূন্য় রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাহানের পরিবর্তে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে সিএসকের জার্সিতে খেলতে নামা সিমরণজিতের শিকার হয়ে। স্যাম কারানও রান পাননি। তিনি ৭ রান করে জাডেজার শিকার হন তিনি। তখনই মোটামুটি ঠিক হয়ে যায় যে এই ম্য়াচ সিএসকে জিততে চলেছে। একমাত্র আশা ছিলেন আশুতোষ শর্মা। তিনিও পারলেন না পাঞ্জাবকে উদ্ধার করতে। তিনিও জাডেজার শিকার হন। লোয়ার অর্ডারে হরপ্রীত ব্রার ও রাহুল চাহার মিলে কিছুক্ষণ ক্রিজে থেকে কিছু রান যোগ করেন পাঞ্জাবের স্কোরবোর্ডে। কিন্তু তা জয়ের জন্য কখনওই যথেষ্ট ছিল না।


নিজের তিন ওভারের স্পেলে মাত্র ১০ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন এদিন স্যান্টনার। অন্য়দিকে জাডেজা নিজের ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জাডেজা। অন্য়দিকে সিমরণজিৎ ৩ ওভারের স্পেলে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ১১ ম্য়াচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এল। পাঞ্জাব আট নম্বরেই রয়ে গেল।