কলকাতা: ৪২ পেরিয়েও নিজের জাত চেনাচ্ছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। মাঠে নেমে এখনও ঝড় তুলছেন ২২ গজে। আর সেই তালিকায় আরও একজন দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik)। ৩৯ বছর বয়সেও যেভাবে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন, তাতে অনেকেই বলছেন, কার্তিকই দেশের এই মুহূর্তের সেরা ফিনিশার। গতকাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) বিরুদ্ধে ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কার্তিক (Dinesh Karthik)। নিজের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। আর এই ইনিংসের পরই অনেকেই কার্তিককে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় স্কোয়াডে দেখতে চাইছেন। ২০২২ সালে আইপিএলেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। এরপরই সেবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় স্কোয়াডে ঢুকে পড়েছিলেন অভিজ্ঞ এই উইকেট কিপার ব্যাটার। যদিও আহামরি কিছু করতে পারেননি সেই টুর্নামেন্টে। এমনকী ভারতীয় দলও গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিয়েছিল। কিন্তু এবার ফের বিশ্বকাপের আগে কার্তিকের এমন পারফরম্য়ান্স সত্যিই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে ফের। সেক্ষেত্রে ঋষভ পন্থ, কে এল রাহুল, সঞ্জু স্যামসন নয়, 'বুড়ো' কার্তিককেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ভারতীয় দলে দেখতে চান সমর্থকরা।
আইপিএল শুরুর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেট কিপার ব্যাটার হিসেবে কে সুযোগ পাবেন, তার জন্য নজরে ছিলেন ঋষভ পন্থ ও কে এল রাহুল। কিন্তু চলতি আইপিএলে ৬ ম্য়াচ খেলে ১৯৪ রান নিজের নামের পাশে যোগ করলেও এখন পর্যন্ত সেভাবে ছন্দে দেখা যায়নি পন্থকে। চোট সারিয়ে প্রায় দেড় বছরের ব্য়বধানে শেষে ফিরেছেন ২২ গজে। ঈশান কিষাণও দীর্ঘদিন পরে ক্রিকেটে ফিরেছেন। তিনিও ১৮৪ রান নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন এখনও পর্যন্ত। ৬ ইনিংসে ২০০ রান করেছেন লখনউ সুপারজায়ান্টসের ওপেনার ও অধিনায়ক কে এল রাহুল। উইকেট কিপার ও ব্যাটার হিসেবে খেলছেন। তিনিও অন্যতম দাবিদার। কিন্তু স্ট্রাইক রেট মাত্র ১৩৮। যা টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটের জন্য একেবারেই মানানসই নয়।
আর এখানেই কার্তিক সবাইকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছেন। একে তো তিনি ফিনিশারের কাজ করছেন নিঁখুতভাবে। গতকাল আরসিবিকে জেতাতে না পারলেও যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, বিরাটদের জয়ের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছিলেন। অন্য়দিকে ৭ ইনিংসে ২২৬ রান তুলে নিয়েছেন কার্তিক। আর স্ট্রাইক রেটও ঈর্ষণীয় ২০৫। এখও পর্যন্ত ১৬টি বাউন্ডারি ও ১৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক। এই ফর্ম যদি আইপিএলে বাকি ম্য়াচগুলোতেও ধরে রাখতে পারেন, তবে কিন্তু অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন কমিটিকেও ভাবতে হবে তাঁকে নিয়ে।