আমদাবাদ: ঘরের মাঠে কোণঠাসা গুজরাত টাইটান্স (Gujrat Titans)। দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) বোলারদের দাপটে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৯ রানে অল আউট হয়ে গেল গুজরাত টাইটান্স। রান পেলেন না গিল, ঋদ্ধি, মিলার সহ টপ অর্ডারের কোনও ব্যাটারই। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩১ এল রাশিদ খানের ব্যাট থেকে। দিল্লি (Delhi Capitals) বোলারদের মধ্যে সর্বাধিক ৩ উইকেট নিলেন মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar)। ২ টো করে উইকেট নিলেন ইশান্ত শর্মা ও ত্রিস্টান স্টাবস। পুরো ২০ ওভার ব্যাটই করতে পারলেন না গুজরাত টাইটান্সের ব্যাটাররা। মাত্র ১৭.৩ ওভারেই অল আউট হয়ে গেল গোটা শিবির।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। এদিন ডেভিড ওয়ার্নারকে ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছিল দিল্লি। তাঁর বদলে দলে এসেছিলেন জ্যাক ফ্রেসার। অন্যদিকে গুজরাত শিবিরে ফিরেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা, ডেভিড মিলার। গুজরাতের জার্সিতে অভিষেক হয় সন্দীপ ওয়ারিয়রের। ওপেনিংয়ে ফিরেছিলেন গিল-ঋদ্ধি জুটি। কিন্তু শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে গুজরাত। গিল দুটো বাউন্ডারি হাঁকালেও ৮ রান করেই ইশান্ত শর্মার বলে পৃথ্বী শ-র হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। প্রত্যাবর্তন একদমই সুখকর হল না বাংলার ঋদ্ধিমানের। অভিজ্ঞ উইকেট কিপার ব্যাটার ১০ বলে ২ রান করে বোল্ড হয়ে গেলেন মুকেশ কুমারের বলে। সাই সুদর্শনকেও ফিরতে হয় রান আউট হয়ে ১২ রান করে। মিলার ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু আশা জোগাতে পারলেন না। ২ রান করে তিনি ইশান্তের বলে আউট হয়ে। অভিনব মনোহরকে ফিরিয়ে দেন ত্রিস্টান স্টাবস। গুজরাত আরও কম রানেই গুটিয়ে যেত। তবে লোয়ার অর্ডারে কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন রাশিদ খান। তিনি ৩১ রানের ইনিংস খেলে মুকেশ কুমারের বলে আউট হন। বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা এই পেসার ২.৩ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন।
এছাড়া কুলদীপ যাদব এদিন কোনও উইকেট না পেলেও নিজের ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৬ রান খরচ করেন। ইশান্ত শর্মা ২ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। স্টাবস এদিন ১ ওভার বল করে ১১ রান খরচ করলেও ২ টো উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে ১৭ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন অক্ষর পটেল।