মোহালি: আরও একটা হার পাঞ্জাব কিংসের। এবার গুজরাত টাইটান্সের (Gujrat Titans) বিরুদ্ধে। ব্যাটাররা বোর্ডে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেননি। তবুও মনে করা হচ্ছিল যে একটা কিছু মিরক্যাল হলে হয়ত প্রীতি জিন্টার হাসি চওড়া হতে পারে। কিন্তু তা হল না। ১৪৩ রান রান তাড়া করতে নেমে সাত উইকেট হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় গিল ব্রিগেড। ১৮ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন শুভমন গিল। এই ম্য়াচ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে ছয় নম্বরে উঠে এল গুজরাত।


১৪৩ রান তাড়া করতে নেমেছিলেন গুজরাতের ২ ওপেনার ঋদ্ধিমান ও গিল। ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাংলার উইকেট কিপার ব্যাটার। এরপর গিল জুটি বাঁধেন সাই সুদর্শনের সঙ্গে। ২৯ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক। পাঁচটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। গিলকে ফিরিয়ে দেন লিভিংস্টোন। অন্যদিকে সাই সুদর্শন ৩১ রান করেন। তিনি স্যাম কারানের বলে বোল্ড হয়ে যান। ডেভিড মিলার ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৩ রান করেন। তিনি এদিন দলে সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারলেন না। তবে রাহুল তেওয়াটিয়া শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ম্য়াচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। নিজের ইনিংসে সাতটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন রাহুল।


 






এর আগে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কারান। শিখর ধবন না থাকায় ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডারই নেতৃত্বভার সামলাচ্ছেন পাঞ্জাব কিংসের। ওপেনিংয়ে এদিন প্রভসিমরনের সঙ্গে নেমেছিলেন কারানই। মাত্র পাঁচ ওভারেই পঞ্চাশের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাঞ্জাব। দুটো বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কারান। প্রভসিমরন ৩৫ রান করে। তিনি তিনটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকান। কারানকে ফেরান রশিদ খান। শশাঙ্ক ও আশুতোষ এই দুই ব্যাটারের কেউই এদিন রান পাননি। ৮ রান করে শশাঙ্ক ও তিন রান করেন আশুতোষ। লোয়ার অর্ডারে হরপ্রীত সিংহ ১৪ ও হরপ্রীত ব্রার ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। দলের স্কোরকে দেড়শোর কাছাকাছি পৌঁছে দেন।