মোহালি: শিখর ধবন নেই দলে। আর যেদিন থেকে নেই সেদিন থেকেই এই দলটার টপ অর্ডার ভেঙে পড়েছিল প্রত্যেকটি ম্য়াচে। একমাত্র মিডল অর্ডার কিছুটা লড়াই করে এসেছে। তাও আবার শশাঙ্ক সিংহ ও আশুতোষ শর্মা ২ আনকোড়ার ব্যাটের ওপর ভরসা করে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছিল প্রত্যেক ম্য়াচে। কিন্তু এদিন সেটাও হল না। ব্যর্থ হলেন এরা দুজনও। আর পাঞ্জাব কিংসও বোর্ডে বড় রান তুলতে পারল না। নিজেদের ঘরের মাঠে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্য়াটিং করতে নেমে মাত্র ১৪২ রান বোর্ডে তুলে অল আউট হয়ে গেল গোটা দল।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কারান। শিখর ধবন না থাকায় ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডারই নেতৃত্বভার সামলাচ্ছেন পাঞ্জাব কিংসের। ওপেনিংয়ে এদিন প্রভসিমরনের সঙ্গে নেমেছিলেন কারানই। মাত্র পাঁচ ওভারেই পঞ্চাশের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাঞ্জাব। দুটো বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কারান। প্রভসিমরন ৩৫ রান করে। তিনি তিনটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকান। কারানকে ফেরান রশিদ খান। প্রভসিমরনকে ফেরান মোহিত শর্মা। রসউ ৯ রান করে ফেরেন। জিতেশ শর্মা ১৩ রান করেন। তবে শশাঙ্ক ও আশুতোষ এই দুই ব্যাটারের কেউই এদিন রান পাননি। ৮ রান করে শশাঙ্ক ও তিন রান করেন আশুতোষ। লোয়ার অর্ডারে হরপ্রীত সিংহ ১৪ ও হরপ্রীত ব্রার ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। দলের স্কোরকে দেড়শোর কাছাকাছি পৌঁছে দেন। 


 






গুজরাত বোলারদের মধ্যে সাই কিশোর এদিনের সবচেয়ে সফল বোলার। তিনি একাই চার উইকেট নেন। তাঁর স্পেলটি ছিল ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয় ৪ উইকেট। মোহিত শর্মা ও নূর আহমেদ দুজনেই ২টো করে উইকেট নেন। ১ উইকেট নেন রশিদ খান। আজমতউল্লাহ ও সন্দীপ ওয়ারিয়র কোনও উইকেট পাননি। এই ম্য়াচের আগে পয়েন্ট টেবিলে আট ও নয় নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে গুজরাত ও পাঞ্জাব। এই ম্য়াচ জিতলেই একে অপরকে টেক্কা দিয়ে ওপরে উঠে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাঞ্জাব বোলাররা গিলদের হাসি কেড়ে নিয়ে ম্য়াজিক দেখাতে পারেন কি না তা দেখার।