আমদাবাদ: ঢাকঢোল পিটিয়ে তাঁকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ছাঁটাই করে দিয়েছিল টিম ম্য়ানেজমেন্ট। কিন্তু মুম্বই শিবিরে প্রত্যাবর্তনটা কিন্তু একেবারেই সুখকর হল না হার্দিক পাণ্ড্যর। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে চলতি আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্য়াচে হারতে হল মুম্বই শিবিরকে। ৬ রানে জয় ছিনিয়ে নিল গুজরাত শিবির।


১৬৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত-ঈশান জুটি নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঈশান। তাঁকে ফিরিয়ে দেন আজমতউল্লাহ ওমরাজই। প্রথম ম্য়াচ খেলতে নামা নমন ধীর ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মুম্বই শিবিরের প্রথম দুটো উইকেটই তুলে নেন ওমরাজই। রোহিত শর্মা ছিলেন নিজের চেনা মেজাজেই। তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি টুর্নামেন্টে কোথাও একটা বাড়তি তাগিদ কাজ করবে রোহিতের ভাল খেলার। এদিন যখন আউট হলেন তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ২৯ বলে ৪৩ রান। সাতটি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। রোহিত ফিরে যাওয়ার পর ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও তিলক ভার্মা মিলে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলের স্কোরবোর্ড। ব্রেভিস ৩৮ বলে ৪৬ রান করেন। তিলক ১৯ বলে ২৫ রান করেন। হার্দিক নিজেও রান পেলেন না। মাত্র ৪ বলে ১১ রান করে আউট হলেন তিনি। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানই বোর্ডে তুলতে পারে মুম্বই। 


এদিন প্রথমে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। গুজরাতের হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন শুভমন গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। বাংলার অভিজ্ঞ উইকেট কিপার ব্যাটার ১৫ বলে ১৯ রান করেন। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি হাঁকান ঋদ্ধি। অধিনায়ক গিল ২২ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। শুরুতে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ইনিংসের শুরু করেছিলেন গুজরাতের ২ ওপেনার। কিন্তু আক্রমণে এসে নিখুঁত ইয়র্কারে ঋদ্ধির স্ট্য়াম্প ভেঙে দেন বুমরা। এপর বেশি ক্ষণ থাকতে পারেননি গিলও। তাঁকে ফিরিয়ে দেন চাওলা। এরপর সাই সুদর্শন এসে ইনিংসের হাল ধরেন। প্রথমে আজমতউল্লাহ ও পরে মিলারকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলের স্কোরবোর্ড। আফগান ক্রিকেটারকে ফিরিয়ে দেন কোয়েৎজে। প্রথমবার আইপিএল খেলতে নেমেই নজর কাড়লেন প্রোটিয়া পেসার। মিলার ১২ রানের ইনিংস খেলেন। তবে সাই সুদর্শন চেষ্টা করছিলেন রান সংখ্যা বাড়ানোর। ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।