মুম্বই: যশপ্রীত বুমরা। বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটারদের কাছে এই নামটা একটা ত্রাস। নিখুঁত ইয়র্কারে স্টাম্প ভেঙে দেওয়া, স্লোয়ারে বোকা বানানো ভারতীয় পেসারের জুড়ি মেলা ভার। তবে বুমরা শুধুমাত্র যে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের নয়, নিজের দলে সতীর্থদের কাছেও আতঙ্কের, তার আভাস পাওযা গেল এবার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তারকা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব এমন এক মন্তব্য করলেন তাঁর দলের সতীর্থকে নিয়ে, যা শুনে আপনিও আন্দাজ করতে পারবেন যে কতটা ভয়ঙ্কর বোলার বুমরা। 


গতকাল আরসিবির বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তারকা ডানহাতি পেসার। আর ব্যাট হাতে ১৯ বলে ঝোড়ো ৫২ রানের ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার। ম্য়াচের পর বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটার বলেন, ''দুর্দান্ত বল করল বুমরা। কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। নেটে হয়ত ২-৩ বছর আগে শেষবার বুমরাকে খেলেছিলাম আমি। এরপর থেকে আর খেলিনি ওকে। কারণ আমি জানি যে ওর বিরুদ্ধে খেললে ও হয় আবার ব্যাট ভাঙবে, নয়ত আমার পায়ের পাতা ভেঙে দেবে।'' ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় জয়, আর তিনি দলে ঢোকার পর থেকেই জিততে শুরু করেছে মুম্বই। সূর্য বলছেন, ''ওয়াংখেড়েতে খেলা ও ম্য়াচ জেতা সবসময়ই উপভোগ করি। আমি টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই মানসিকভাবে দলের সঙ্গে ছিলাম। তবে রিহ্যাবের জন্য অবশ্য বেঙ্গালুরুতে থাকতে হয়েছিল। দুশোর কাছাকাছি রান তাড়া করতে জিততে হলে অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হয়। শিশির একটা ফ্য়াক্টর, এটা মাথায় রাখতে হয় আমাদের। রোহিত ও ঈশান প্রথম দশ ওভারে রানটা তুলে দিয়েছিল, আমাদের শুধু লক্ষ্য রাখতে হত যত তাড়াতাড়ি ম্য়াচ শেষ করা যায়। নেট রান রেট একটা ইস্যু ছিলই।''


গতকাল প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান বোর্ডে তুলেছিল আরসিবি। বিরাট মাত্র ৩ রান করে আউট হন। তবে ডু প্লেসি ও পাতিদার অর্ধশতরান করেন। ২৩ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন দীনেশ কার্তিকও। ৫ উইকেট নেন বুমরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঈশান কিষাণ ৩৪ বলে ৬৯ রান করেন। রোহিত ২৪ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁরাই মাত্র আট ওভারে একশোর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল। সূর্যকুমার এরপর নেমে ১৯ বলে ৫২ রানের ঝোড়াে ইনিংস খেলে আরসিবির সব স্বপ্ন শেষ করে দেন। হার্দিক ৬ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৫.৩ ওভারে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নেয় মুম্বই।