লখনউ: আরও একটা অর্ধশতরান হাঁকালেন কে এল রাহুল (KL Rhul)। পঞ্চাশ ছুঁলেন দীপক হুডাও (Deepak Hooda)। দলের ২ তারকা ব্যাটার ডি কক ও স্টোইনিসের ব্যাট না চললেও লখনউ সুপারজায়ান্টস (Lucknow Supergiants) রাজস্থানের (Rajasthan Royals) বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেনে ১৯৬/৫ রান বোর্ডে তুলে লখনউ সুপারজায়ান্টস (Lucknow Supergiants)। ওপেনিংয়ে ডি কক (De Cock) ও রাহুল (KL Rahul) নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ডি ককের স্টাম্প ভেঙে দেন বোল্ট। কিন্তু এরপরই জুটি বাঁধেন রাহুল ও হুডা। দুজনে মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে দুটো ম্য়াচেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল লখনউ। তাই এই ম্য়াচে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নেমেছিল লখনউ শিবির। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন বোল্ট। ৩ বলে ৮ রান করেন প্রোটিয়া তারকা। আগের ম্য়চে স্টোইনিস শতরান হাঁকিয়ে জিতিয়েছিলেন। এদিন যদিও খাতাই খুলতে পারলেন না তিনি। সন্দীপ শর্মার বলে বোল্ড হয়ে গেলেন চার বল খেলে। রাহুল ৪৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন এরপর। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হবে। তার আগে নিজে ছন্দে ফিরছেন রাহুল। এদিনের ইনিংসে আটটি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। দীপক হুডা ৩১ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। রাহুলকে ফেরান আবেশ খান। বোল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। হুডাকে ফেরান অশ্বিন। পুরাণ ১১ ও বাদোনি ১৩ বলে ১৮ রান করেন। ক্রুণাল ১৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
এদিন রাজস্থান বোলারদের মধ্যে ২ উইকেট নেন সন্দীপ শর্মা। ১টি করে উইকেট নেন বোল্ট, আবেশ ও অশ্বিন। চাহাল এদিন ৪ ওভারে ৪১ রান খৎচ করলেও কোনও উইকেট পাননি। লখনউ এদিনের ম্য়াচেও ময়ঙ্ক যাদবকে খেলায়নি। চোট সেরে উঠলেও হয়ত ম্য়ানেজমেন্ট আরও একটু বিশ্রাম দিতে চেয়েছিল এই তরুণ পেসারকে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ময়ঙ্ককে বুঝে বুঝে ব্য়বহার করাতে চাইছে ম্য়ানেজমেন্ট।