বিশাখাপত্তনম: নারাইন, রাসেলরা মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিল। স্টার্ক, হর্ষিতদের দায়িত্ব ছিল সেই মঞ্চেই ষোলোকলা পূর্ণ করে ম্য়াচ জেতানোর। যে কাজ নিঁখুতভাবে সম্পন্ন করলেন কেকেআরের (Kolkata Knight Riders) বোলিং ব্রিগেড। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১০৬ রানের বিশাল ব্য়বধানে জয় ছিনিয়ে নিল কলকাতা নাইট রাউডার্স (Kolkata Knight Riders)। পাহাড়প্রমাণ ২৭৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৬৬ রানে অল আউট হয়ে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)। ম্য়াচে ঝোড়ো ৮৫ রান ও বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্য়াচের সেরা হলেন সুনীল নারাইন। 


ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ নেমেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ওপেনে। এদিনের ম্য়াচে অংরিশ রাঘুবংশী খেলেছিলেন ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে। ব্যাট হাতে তিনি অর্ধশতরান করার পর তাঁর বদলে ফিল্ডিংয়ের সময়ে নামেন বৈভব আরোরা। তিনি পৃথ্বীকে ফিরিয়ে দেন প্রথমে। ১০ রান করে ফেরেন মুম্বই ব্যাটার। আগের দুটো ম্য়াচে প্রচুর রান খরচ করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। কোনও উইকেট দু ম্য়াচে পাননি। এদিন স্বদেশীয় ওয়ার্নারকে বোল্ড করে এবারের আইপিএলে নিজের উইকেটের খাতা খোলেন স্টার্ক। মিচেল মার্শ ও অভিষেক পোড়েল খাতা খােলার আগেই ফিরে যান এদিন। মার্শকে ফেরান স্টার্ক। বৈভবের দ্বিতীয় শিকার হন অভিষেক। পন্থ ও স্টাবস মিলে একটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। দিল্লির অধিনায়ক ২৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। ৪টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা। স্টাবস তাঁর ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। অক্ষর পটেল খাতা খুলতে পারেননি। 


এর আগে প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। ওপেনে নেমেছিলেন নারাইন ও সল্ট। আগের ম্য়াচে আরসিবির বিরুদ্ধে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেদিন অল্পের জন্য অর্ধশতরান মিস করেছিলেন। এদিন অবশ্য আর সেই ভুল করলেন না। ফিল সল্টের সঙ্গেই ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন। সল্ট আগের ম্য়াচে অর্ধশতরান হাঁকালেও এদিন ১৭ রান করেই ফিরে যান। তবে নারাইনকে কোনওভাবেই থামাতে পারেননি দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলাররা। প্রতি ওভারেই প্রায় পনেরোর ওপরে গড় রেখে রান করে যাচ্ছিলেন নারাইন। মাত্র ২১ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন নারাইন। একটা সময় মনে হয়েছিল যে শতরান পেরিয়ে যাবেন হয়ত নারাইন। কিন্তু সেখান থেকে ব্যক্তিগত ৮৫ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। নিজের ইনিংসে সাতটি বাউন্ডারি ও সাতটি ছক্কা হাঁকালেন নারাইন। তিনি যখন ফিরলেন তখন ১২.৩ ওভারে বোর্ডে ১৬৪ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছে কেকেআর। এরপর রাসেল ১৯ বলে ৪১ রান করেন। রিঙ্কু সিংহ ৮ বলে ২৬ রান করেন।