আমদাবাদ: ২৩ মার্চ। ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) মুখটা বিষণ্ণ দেখাচ্ছিল। সেদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (KKR vs SRH) বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ৫৩ রান খরচ করেছিলেন তাঁর দলের সেরা বোলার। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় যাঁকে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেদিন যদিও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে-বলে দাপট বাঁচিয়ে দিয়েছিল শাহরুখের দলকে। ঘরের মাঠে ম্যাচ জিতেছিল কেকেআরই।


২১ মে। প্রায় ২ মাস পর সেই শাহরুখ আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বসে দেখলেন, প্রতিপক্ষ ব্যাটার রাহুল ত্রিপাঠি রান আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে সিঁড়িতে বসে মুখ ঢেকে বসে। কাঁদছেন কি? হয়তো। তাঁর রান আউটের নেপথ্যে হয়তো স্টার্কের অবদান ছিল না। তবে স্টার্কের আগুনে স্পেলে যেভাবে হায়দরাবাদ ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড গুঁড়িয়ে গেল, তাতে প্যাট কামিন্সের দলের মনোবল তলানিতে ঠেকল। স্টার্কের দাপটেই কোয়ালিফায়ার ওয়ানে কোণঠাসা হায়দরাবাদ। ক্রিকেটপ্রেমীরা অস্ট্রেলীয় পেসারের নামে জয়োধ্বনি দিচ্ছেন। দেখে কে বলবে যে, এই বোলারেরই মুণ্ডপাত চলছিল কদিন আগে পর্যন্ত!


শুরু করেছিলেন প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে ট্র্যাভিস হেডের মিডল ও অফস্টাম্প ছিটকে দিয়ে। হেডের সঙ্গে অভিষেক শর্মার জুটিকে বলা হচ্ছে বোলারদের আতঙ্ক। সেই ট্র্যাভিষেক জুটি মাথাই তুলতে পারল না কোয়ালিফায়ারে। হেডকে শূন্য রানে ফেরালেন স্টার্ক। পরের ওভারে বৈভব অরোরা তুলে নেন অভিষেককে। পাওয়ার প্লে-তে চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে থাকে হায়দরাবাদ। প্রথম স্পেলের শেষে স্টার্কের বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৩-০-২২-৩। হেডের পাশাপাশি নীতীশ রেড্ডি ও শাহবাজ আমেদকে ফেরান তিনি। পেতে পারতেন ত্রিপাঠির উইকেটও। তাঁর বল স্টাম্পের সামনে আছড়ে পড়েছিল প্রাক্তন নাইটের পায়ে।আম্পায়ার এলবিডব্লিউয়ের আবেদন নাকচ করেন। ডিআরএস নেয়নি কেকেআর। পরে রিপ্লে থেকে দেখা যায় যে, আউট ছিলেন রাহুল। সেই সময় ত্রিপাঠি ফিরে গেলে দেড়শো পেরত না হায়দরাবাদ।


সেই ত্রিপাঠিই যা একটু লড়াই করলেন। ৩৫ বলে ৫৫ করে হায়দরাবাদকে পৌঁছে দিলেন ভদ্রস্থ স্কোরে। দলের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই। তাঁকে সঙ্গত করলেন হেনরিখ ক্লাসেন। ২১ বলে ৩২ রান করলেন। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ২৪ বলে ৩০ করলেন। ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ রানে অল আউট হয়ে গেল হায়দরাবাদ। ফাইনালের দরজা খুলতে ১৬০ রান তুলতে হবে কেকেআরকে।


৩৪ রানে ৩ উইকেট স্টার্কের। ২ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর। একটি করে উইকেট বৈভব, হর্ষিত রানা, সুনীল নারাইন ও রাসেলের।


আরও পড়ুন: 'বয়সের জন্য আমাকে কেউ ছাড় দেয় না', নিজের নতুন শখের কথাও জানালেন ধোনি


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।