চেন্নাই: মার্কাস স্টোইনিস (Marcus Stoinis)। অজি তারকা এদিনের ম্য়াচের আগে সিএসকের (Chennai Super Kings) ভাবনা চিন্তার মধ্যে কোনওভাবে ছিলেন না কি না জানা নেই। তবে এটুকু বলাই যায় যে পরীক্ষায় যেমন অজানা প্রশ্ন চলে আসে মাঝে মাঝে, এই বিষয়টা তেমনই ছিল। কুইন্টন ডি কক, কে এল রাহুল, নিকোলাস পুরাণদের নিয়ে ছক কষেছিল ধোনি, রুতুরাজরা। কিন্তু পরীক্ষায় চলে এলেন মার্কাস স্টোইনিস (Marcus Stoinis)। আর সেখানেই কুপোকাত সিএসকে। তাও আবার নিজেদের ঘরের মাঠে। এই লখনউয়ের বিরুদ্ধেই গত শুক্রবার হেরে গিয়েছিল হলুদ  জার্সিধারীরা। সেটা ছিল একানা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। এবার চিপকেও জয় ছিনিয়ে নিল কে এল রাহুলের দল। 


২১১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল লখনউ। কুইন্টন ডি কক এদিন খাতা খোলার আগেই দীপক চাহারের বলে আউট হয়ে ফেরেন। কে এল রাহুল ১৪ বলে ১৬ রান করে ফেরেন। দেবদত্ত পড়িক্কল এদিনও রান পাননি। তিনি ১৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন। তবে এদিন লখনউ শিবিরের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন মার্কাস স্টোইনিস। চলতি আইপিএলে এই ম্য়াচের আগে একটিও ম্য়াচ জেতানো পারফরম্য়ান্স ছিল না। কিন্তু এদিন একাই শেষ করে দিলেন সিএসকের জেতার স্বপ্ন। ৬৩ বলে ১২৪ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ১৩টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান। ১৫ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরাণ। তিনি ৩টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। স্টোইনিসের সঙ্গে ক্রিজে থেকে লখনউয়ের জয়ের ভিত তৈরি করেন পুরাণও। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। মুস্তাফিজুর রহমনের প্রথম তিন বলেই জয় ছিনিয়ে আনেন স্টোইনিস। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে চার নম্বরে উঠে এল কে এল রাহুলের দল।


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লখনউ সুপারজায়ান্টস অধিনায়ক কে এল রাহুল। সিএসকের হয়ে ওপেনিংয়ে রাহানে ও রুতুরাজ নেমেছিলেন। কিন্তু প্রথম ওভারেই রাহানের উইকেট হারায় চেন্নাই। মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ডানহাতি ওপেনার। তিন নম্বরে নেমেছিলেন ড্যারিল মিচেল। তিনি ১১ রান করে প্যাভিলিয়ে ফেরেন। এরপর রবীন্দ্র জাডেজাও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ১৯ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এরপর শিবম দুবে ২৭ বলে ৬৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শিবম দুবে। রুতুরাজের সঙ্গে জুটি বেঁধে দুশোর গণ্ডি চেন্নাইকে পার করিয়ে দিতে সাহায্য করেন। দুবে তাঁর ইনিংসে তিনটি বাউন্ডারি ও সাতটি ছক্কা হাঁকান। দুবে শেষ ওভারে রান আউট হয়ে গেলেও রুতুরাজকে ফেরাতে পারেননি লখনউয়ের বোলাররা। তিনি ১২টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ১০৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান।