চেন্নাই: কিছুদিন আগেই এই দুই দলের সাক্ষাতে ধোনিদের হারের সম্মুখিন হতে হয়েছিল। ঘরের মাঠে আজ সেই লখনউ সুপারজায়ান্টসের (Lucknow Supergiant) বিরুদ্ধেই খেলতে নেমেছে সিএসকে। প্রথমে ব্য়াটিং করতে নেমে চিপকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান বোর্ডে তুলে নিল সিএসকে। অধিনায়কোচিত সেঞ্চুরি হাঁকালেন রুতুরাজ গায়কোয়াড (Ruturaj Gikwad)। ১০৮ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন শিবম দুবে। অন্যদিকে শেষ ২ বলের জন্য ব্যাট হাতে নেমেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এক বল খেলার সুযোগ পান তিনি। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংসের পরিসমাপ্তি ঘটান মাহি।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লখনউ সুপারজায়ান্টস অধিনায়ক কে এল রাহুল। ময়ঙ্ক যাদবকে দেখা যেতে পারে একাদশে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু এদিনও তাঁকে বিশ্রাম দিয়েছিল টিম ম্য়ানেজমেন্ট। অন্য়দিকে সিএসকে একাদশে রাচিন রবীন্দ্রকে এদিন খেলানো হয়নি। তাঁর বদলে দলে নেওয়া হয়েছিল ড্যারিল মিচেলকে। ওপেনিংয়ে রাহানে ও রুতুরাজ নেমেছিলেন। কিন্তু প্রথম ওভারেই রাহানের উইকেট হারায় চেন্নাই। মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ডানহাতি ওপেনার। তিন নম্বরে নেমেছিলেন ড্যারিল মিচেল। তিনি ১১ রান করে প্যাভিলিয়ে ফেরেন। এরপর রবীন্দ্র জাডেজাও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ১৯ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এরপর শিবম দুবে ২৭ বলে ৬৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শিবম দুবে। রুতুরাজের সঙ্গে জুটি বেঁধে দুশোর গণ্ডি চেন্নাইকে পার করিয়ে দিতে সাহায্য করেন। দুবে তাঁর ইনিংসে তিনটি বাউন্ডারি ও সাতটি ছক্কা হাঁকান। দুবে শেষ ওভারে রান আউট হয়ে গেলেও রুতুরাজকে ফেরাতে পারেননি লখনউয়ের বোলাররা। তিনি ১২টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ১০৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান।
দুবে আউট হওয়ার পর ১৯.৪ ওভারের সময় ক্রিজে এসেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। পঞ্চম বলটি নন স্ট্রাইকার এন্ডে ছিলেন তিনি। শেষ বলে মার্কাস স্টোইনিসের বলে বাউন্ডারি হাঁকান মাহি। লখনউ বোলারদের মধ্যে ম্য়াট হেনরি সবচেয়ে সফল বোলার। ৪ ওভারে ১ উইকেট নিলেও মাত্র ২৮ রান খরচ করেন তিনি। এছাড়াও মহসিন ও যশ ঠাকুর একটি করে উইকেট নেন।