চেন্নাই: ২৫ কোটি ছুঁইছুঁই দর। এত টাকা পাওয়ার পরে, এমন পারফরম্যান্স? ছি! ছি...কত কথা শুরু হয়ে গিয়েছিল তাঁকে নিয়ে। তিনি নাকি শেষ হয়ে গিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসারের ইকনমি রেট এগারোর ওপর। খরচের খাতায় তাঁকে ফেলে দিয়েছিলেন সবাই। কিন্তু ওই যে একট কথা আছে খেলার জগতে, ''ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট''। যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁকে, তিনি তখনই ফিরে এলেন। প্লে অফে নিলেন তিন উইকেট আর ফাইনালে নিলেন ২ উইকেট। কেকেআরের জার্সিতে প্রথমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়নও হলেন। আর একইসঙ্গে রেকর্ডও গড়লেন। আইপিএলের ১৭ বছরের ইতিহাসে এমন রেকর্ড আর কারও নেই। 


প্লে অফের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল কেকেআর। সেই ম্য়াচে প্রথম ওভারেই ট্রাভিস হেডকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর নীতিশ রেড্ডি ও শাহবাজ আহমেদকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। হায়দরাবাদের শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন অজি পেসারই। সেই ম্য়াচে প্লেয়ার অফ দ্য ম্য়াচ হয়েছিলেন। নিজের ৪ ওভারের স্পেলে ৩৪ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নেন স্টার্ক। এরপর গতকাল ফাইনালেও হায়দরাবাদ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন বিশ্বজয়ী অজি পেসারই। এবারও নিজের প্রথম ওভারেই অভিষেক শর্মাকে বোল্ড করে দেন স্টার্ক। এরপরের ওভারেই রাহুল ত্রিপাঠীকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। নিজের প্রথম স্পেলে ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন। যেই ধাক্কা আর সামনে উঠতে পারেনি হায়দরাবাদ শিবির। আইপিএলের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রান ২৮৭ এসেছিল তাঁদের ব্যাট থেকেই। এবার আইপিএলের ফাইনালের ইতিহাসেও সর্বনিম্ন রান এল কমলা ব্রিগেডের ব্য়াটেই। মাত্র ১১৩ রানে অল আউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ। পরে যা হেসেখেলে তুলে নেয় কেকেআর ব্যাটাররা। ফাইনালেও ম্য়াচের সেরা নির্বাচিত হন স্টার্ক। এর আগে আইপিএলের ইতিহাসে প্লে অফে পরপর দু ম্য়াচে ম্য়ান অফ দ্য ম্য়াচ পুরস্কার পাননি কোনও ক্রিকেটার। মিচেল স্টার্কই এই রেকর্ডের মালিক হলেন প্রথম। 






এর আগে আইপিএলে ২০১২ ও ২০১৪ মরশুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কেকেআর। সেবার গৌতম গম্ভীর অধিনায়ক ছিলেন। আর এবার গম্ভীরের মেন্টরশিপে ফের আইপিএল খেতাব জিতল কেকেআর।