বিশাখাপত্তনম: ম্যাচ হচ্ছে দিল্লির হোমগ্রাউন্ডে। বিশাখাপত্তনমের মাঠই এখন দিল্লির হোমগ্রাউন্ড। কিন্তু গ্যালারির দিকে তাকালে ভুল মনে হতেই পারে। চারিদিকে শুধুই হলুদ আর হলুদ। আর একটাই নামের শব্দব্রহ্ম। ধোনি....ধোনি...ধোনি..। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্য়াচে মাঠের লড়াই একাই লড়তে হল ঋষভ পন্থদের। কারণ গোটা মাঠের সমর্থনই যে ধোনির দখলে। হয়ত এটাকেই বলে মাহি ম্য়ানিয়া। তবে গুরুর প্রতি সমর্থকদের ভালবাসা দেখে অবাক হননি পন্থ। উল্টো ধোনির সামনেই হাঁকিয়ে ফেললেন ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম অর্ধশতরানটি। ওয়ার্নারের ব্য়াট থেকেও এল হাফ সেঞ্চুরি। প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে রান পেলেন পৃথ্বী শ। সিএসকের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান বোর্ডে তুলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি অধিনায়ক পন্থ। এদিনের ম্য়াচে দিল্লি একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন পৃথ্বী শ। ফলে মিচেল মার্শকে নীচের দিকে নেমে আসতে হয়। ওপেনিংয়ে ওয়ার্নারের সঙ্গে নেমেছিলেন পৃথ্বী। বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশনে নেমেছিল দিল্লি। যা কাজেও দিল। পাওয়ার প্লে-তে দশের বেশি রান রেটে রান বোর্ডে তুলে ফেলেছিল দিল্লি। প্রথম চার ওভারে ২৪ রান ছিল বোর্ডে। পরের চার ওভারে ৬৩ রান বোর্ডে তুলে নেয় দিল্লি। ওয়ার্নার ছিলেন একটু বেশিই মারমুখি মেজাজে। দীপক চাহারের তৃতীয় ওভারে ১৮ রান তুলে নেন তিনি। উল্টোদিকে পৃথ্বীও পিছিয়ে ছিলেন না। রঞ্জির ফর্ম আইপিএলেও ধরে রাখলেন তিনি। ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন পৃথ্বী। ডেভিড ওয়ার্নার আরও একটি অর্ধশতরান হাঁকালেন আইপিএলে। ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পন্থ শুরুর দিকে একটু ধীরে খেললেও পরে নিজের হাত খোলেন। গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর এবারের আইপিএলেই প্রথমবার মাঠে নেমেছিলেন পন্থ। দুটো ম্য়াচে ভাল শুরু করেও বড় রান পাননি। এদিন ৩২ ম্য়াচে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম অর্ধশতরান। ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মিচেল মার্শ ১২ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলেন। 


চেন্নাই বোলারদের মধ্যে পাথিরানা সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন। নিজের ৪ ওভারের স্পেলে ৩১ রান খরচ করেন লঙ্কা পেসার। একটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর ও জাডেজা।