আমদাবাদ: বোলাররা কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন আগেই। মাত্র ১৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সহজ কাজ কঠিন করলেন না গুজরাত ব্যাটাররা। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই জয় ছিনিয়ে নিল শুভমন গিলের (Subhman Gill) দল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে (Sunrisers Hyderabad) নিজেদের ঘরের মাঠে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে প্রথম চারে উঠে এলেন গিলরা। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ম্য়াচ জেতালেন ডেভিড মিলার। সঙ্গে দিলেন গিল, সুদর্শন। 


১৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। শুরুতে স্বাভাবিকভাবেই গিল ও ঋদ্ধি নেমেছিলেন। শুরুতে গিল একটু ধীরে খেলার চেষ্টা করছিলেন। তবে ঋদ্ধি নিজের মারমুখি মেজাজেই চালিয়ে খেলা শুরু করেন। মাত্র ৪ ওভারে ৩৬ রান তুলে নিয়েছিল গুজরাত বোর্ডে। ২ টো ছক্কা হাঁকিয়ে ঋদ্ধিমান যখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন, তখনই আঘাত হানেন শাহবাজ। ১৩ বলে ২৫ রান করে কামিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। গিলের সঙ্গে এরপর জুটি বাঁধেন সাই সুদর্শন। এবারের আইপিএলে প্রথম ম্য়াচ থেকেই ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলে আসছেন সুদর্শন। আর ব্যাট হাতে যখনই নামেন তখনই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। ৩৬ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে গুজরাতের জয়ের ভিত শক্ত করেন সুদর্শন। গিল ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মারকাণ্ডের বলে ৩৬ রান করে আব্দুল সামাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। নিজের ইনিংসে ২টো বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান গিল। তিনি ফিরে যাওয়ার পর মিলারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সুদর্শন। এদিন কিছুটা চোট নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটার। রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেটে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল মিলারকে। তবে তিনি শেষ পর্য়ন্ত ক্রিজে টিকে থাকেন। ২৭ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। বিজয় শঙ্কর ১১ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। 


এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মাত্র ১৬২/৮ রান বোর্ডে তুলতে পেরেছিল। আগের ম্য়াচের নায়ক ক্লাসেন, হেড ও অভিষেক কেউই এদিন রান পাননি। তার অন্য়তম কারণ গুজরাত টাইটান্সের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। বিশেষ করে মোহিত শর্মা। নিজের ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ২৫ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। বিশেষ করে শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান খরচ করে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনই। ম্য়াচের সেরাও হন মোহিত শর্মা।