আমদাবাদ: দেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (T20 International Cricket) অভিষেকের পর থেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। কিন্তু তবুও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) স্কোয়াডে জায়গা পাননি রিঙ্কু সিংহ (Rinku Singh)। রিজার্ভ প্লেয়ার হিসেবে দলের সঙ্গে তিনি সফর করবেন। কিন্তু ১৪ সদস্যের মূল দলে তিনি নেই। যেদিন ভারতীয় দলের স্কোয়াড ঘোষণা হল, সেদিন নিজের নাম মূল দলে না দেখতে পেয়ে কিছুটা হতাশও হয়েছিলেন। আইপিএলের প্লে অফের প্রথম কোয়ালিফায়ারে আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) বিরুদ্ধে খেলতে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। আর তার আগে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন বাঁহাতি এই মিডল অর্ডার ব্য়াটার।
সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ম্য়াচের আগে রিঙ্কু বলেন, ''আমি যেদিন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম, সেদিন থেকে অনেক জুনিয়র পর্যায়ের চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছি। ট্রফি জিতেছি। কিন্তু কোনওদিন কোনও বড় টুর্নামেন্ট জিততে পারিনি। আমি বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে যাব। আশা রাখি সেখানে জয় ছিনিয়ে আনতে পারব আমরা। আমার স্বপ্ন দেশের হয়ে বড় কোনও ট্রফি জিতি ও তা নিজের হাতে ধরতে পারি যেন।''
গত মরশুমে আইপিএলে ১৪৯ এর ওপর স্ট্রাইক রেট রেখে ৪৭৪ রান করেছিলেন রিঙ্কু। চারটি অর্ধশতরানও ছিল ঝুলিতে। যার জন্য ভারতীয় দলের জার্সিতে আয়ারল্যান্ড সফরে প্রথমবার সুযোগ পান। খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন পিচেও। দেশের হয়ে ১১ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৫৬ রান করেছেন। ৮৯ গড়ে ব্যাটিং করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৭৬। এতদূর পর্যন্ত পরিসংখ্যান রিঙ্কুর হয়েই কথা বলছিল। কিন্তু চলতি আইপিএলে একেবারেই ফর্মে নেই উত্তরপ্রদেশের এই ব্যাটার। ১১ ইনিংসে মোট ১৬৮ রান করেছেন এখনও পর্যন্ত। গড় মাত্র ১৯। সর্বোচ্চ ২৬। দলের কম্বিনেশনের জন্য অনেক ম্য়াচে শেষের দিকে নামতে হয়েছে। সেভাবে রান করার সুযোগই পাননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে তাই রিঙ্কুকে রিজার্ভে রেখে মূল দলে ফর্মে থাকা শিবম দুবেকে নিতে বাধ্য হন। সময় খারাপ যাচ্ছে? রিঙ্কু বলছেন, ''সময় তো তাঁদের খারাপ যায়, যাঁদের হাত-পা থাকে না। আমার তো ভগবান হাত-পা দিয়েছে। আমি এভাবে ভাবিই না যে সময় খারাপ যাচ্ছে।''
কেকেআরের তারকা মিডল অর্ডার ব্যাটার আরও বলেন, ''আমি যখনই ভাল খেলেছি, বা ছন্দে থাকি, তখনই আমার একটা কথাই মনে হয় আগামী ম্য়াচে আরও ভাল খেলতে হবে আমাকে। আরও পরিশ্রম করতে হবে। গত বছর পাঁচটি ছক্কা হাঁকানাের পর আমি আরও পরিশ্রম করেছিলাম। এরপর দেশএর জার্সিতে খেলার সুযোগও পাই। আমার জীবনটাও বদলে যায়। আমি বিজ্ঞাপণও পেতে শুরু করি। যখন দেখি নিজের নামে হোর্ডিং লেগেছে কোথাও, তখন ভাল লাগে। এখন কোথাও একা যাই না। যখন এগুলো ভাবি, তখন মনে হয় জীবনে কিছু করতে পেরেছি।''
আগের ম্য়াচগুলোয় ভাল পারফর্ম করতে পারেননি। তবে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পেলে রান পাবেন, আশাবাদী রিঙ্কু।