বেঙ্গালুরুর: পুরো পাঁচে পাঁচ। শুরুটা যতটা বাজে হয়েছিল। টুর্নামেন্টের শেষলগ্নে এসে ততটাই চমক দেখাচ্ছে এবার আরসিবি। টানা পঞ্চম জয় ছিনিয়ে নিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (Royal Challengers Bengaluru)। দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) বিরুদ্ধেও ৪৭ রানে জয় ছিনিয়ে নিল ফাফ ডু প্লেসির দল। এমনকী শুধু জয় ছিনিয়ে নেওয়াই নয়। প্লে অফের প্রথম চারে ঢোকার অন্যতম দাবিদারও হয়ে উঠল তারা। দিল্লি বধের সঙ্গে সঙ্গেই পয়েন্ট টেবিলের প্রথম পাঁচে ঢুকে পড়ল রয়্য়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। 


১৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট হারায় দিল্লি শিবির। জ্যাক ফ্রেসার ম্য়াকগুর্ক অবশ্য শুরু করেছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজেই। ৮ বলে ২১ রান করে ফেলেছিলেন তিনি। দুটো বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কাও হাঁকান নিজের ইনিংসে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হতে হয় তাঁকে। শাই হোপ ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন। যশ দয়ালের বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ মারেন তিনি। কিন্তু বল দয়ালের হাতে লেগে নন স্ট্রাইকার এন্ডের উইকেট ভেঙে দেয়। লাইনের বাইরে ছিলেন সেই সময় ম্য়াকগুর্ক। অভিষেক পোড়েল ও কুমার কুশাগ্রা দুজনেই ২ রান করে আউট হন। এরপর হোপের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অক্ষর পটেল। ৩০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খুঁইয়ে বসেছিল দিল্লি। কিন্তু সেখান থেকেই অক্ষর ও হোপ মিলে দলকে টানতে থাকেন। কিন্তু হোপও বড় রান করতে পারেননি। ২৩ বলে ২৯ রান করেন তিনি। ত্রিস্টান স্টাবস যদিও মাত্র ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৩৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে শেষ চেষ্টা করেছিলেন অক্ষর। কিন্তু তিনি আউট হতেই দিল্লির জয়ের সব আশা শেষ হয়ে যায়। আরসিবি বোলারদের মধ্যে ৩ উইকেট নেন যশ দয়াল। ২ উইকেট নেন ফার্গুসন। একটি করে উইকেট নেন স্বপ্নিল, সিরাজ ও গ্রিন। 


এর আগে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি ২৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও অর্ধশতরান হাঁকান রজত পাতিদার। ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকান।  উইল জ্যাকস ২৯ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। ২৪ বলে ৩২ রান করেন ক্যামেরন গ্রিন। এদিকে ম্য়াচ হেরে দিল্লি ক্যাপিটালস ১৩ ম্য়াচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে থাকল। দুটো দলের কাছেই শেষ ম্য়াচ খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।