হায়দরাবাদ: আইপিএলের ইতিহাসে দল হিসেবে সর্বোচ্চ রান এক ইনিংসে বাের্ডে তোলার রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad)। ২৮৭ রান বোর্ডে তুলেছিল তারা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) বিরুদ্ধে। এবার গতকাল লখনউ সুপারজায়ান্টসের (Lucknow Supergiants) বিরুদ্ধে ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯.৪ ওভারে জয় ছিনিয়ে নেয় সানরাইজার্স শিবির। ট্রাভিস হেড (Travis Head) ৩০ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন। আটটি বাউন্ডারি ও আটটি ছক্কা হাঁকান তিনি। অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma) ২৮ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে আটটি বাউন্ডারি ও ছয়টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এমন ইনিংস দেখে স্বয়ং মাস্টার ব্লাস্টারও চমকে গিয়েছিলেন। সচিন তেন্ডুলকর মনে করেন রান তাড়া করতে না নেমে যদি প্রথমে ব্যাটিং করতে নামত সানরাইজার্স, তাহলে হয়ত তিনশোর বেশি রান বোর্ডে যোগ করে ফেলত তারা।
গতকাল ম্য়াচের পর সচিন তেন্ডুলকর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, ''একটি ভয়ঙ্কর ওপেনিং জুটি। দুর্ধর্ষ ব্যাটিং দেখতে পাওয়া গেল। আমি নিশ্চিত এই ছেলেরা আগে ব্য়াটিং করতে নামলে স্কোর হয়ত তিনশো পেরিয়ে যেত।''
গতকাল প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে লখনউ সুপারাজায়ান্টস ১৬৫ রান বোর্ডে তুলতে পারে। কে এল রাহুল ৩৩ বলে ২৯ রান করেন। এত স্লো ইনিংস খেলার জন্য লখনউ অধিনায়ককে তীব্র সমালোচনার মধ্যেও পড়তে হয়। টপ অর্ডার রান করতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত আয়ুশ বাদোনির অর্ধশতরান ও নিকোলাস পুরাণের ২৬ বলে ঝোড়ো ৪৮ রানের ওপর ভর করে বোর্ডে ১৬৫ রান তুলতে সক্ষম হয় লখনউ। সানরাইজার্স বোলারদের মধ্য়ে ভুবনেশ্বর কুমার দুরন্ত বোলিং করেন। নিজের চার ওভারের স্পেলে মাত্র ১২ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নেন এই অভিজ্ঞ ডানহাতি পেসার।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণের পথ বেছে নেন সানরাইজার্সের ২ ওপেনার হেড ও অভিষেক। লখনউয়ের কোনও বোলারকেই রেয়াত করছিলেন না এই বাঁহাতি ওপেনিং জুটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হেড যেই ফর্মে রয়েছেন, তাতে অজি শিবির নিঃসন্দেহে বেশ খুশি হবে। অন্যদিকে অভিষেক শর্মার ব্যাটিং দেখে অনেকে তো সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেই দিচ্ছেন যে এই ছেলেই ভবিষ্যতের তারকা। অনেকে অভিষেককে এখনই ভারতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার বিষয় সওয়াল করেছেন।