চেন্নাই: তিনি দিল্লির ছেলে। তিনি মুম্বইয়ের বাদশা। তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) মালিক। কিন্তু আসলেই কি তাই? তিনি তো একটা গোটা দেশের। আর তার জন্য়ই তো শুধু ইডেন নয়। তাঁর এক ঝলক দেখা পাওয়ার জন্য কেকেআরের খেলা থাকলেই স্টেডিয়ামে ভিড় বাড়ান অসংখ্য শাহরুখ প্রেমী। গতকালই তার ব্যতিক্রম হয়নি। চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) ঘরের মাঠ চিপক। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ডেরা। ধোনির কেরিয়ারের সায়াহ্নেও এই মাঠের গ্যালারির গায়ে হলুদ থাকে সবসময়। সেই ধোনির চেন্নাই প্লে অফেই জায়গা করে নিতে পারেনি। তাতে কি? কেকেআর ফাইনালে খেলতে নামবে এই মাঠে, আর তার মানেই তো শাহরুখ খান আসবেন। এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে! শাহরুখকে কাছ থেকে দেখার জন্য তো শত শত মাইল পেরিয়ে ম্য়াচ দেখতে আসাই যায়। তার জন্যই তো ম্য়াচ শেষের অনেকক্ষণ পরেও যখন শাহরুখ গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করছেন, তখনও হাজার হাজার সমর্থক শুধু একপলক তাঁকে দেখার অপেক্ষায়। ভক্তদের হতাশ করেননি কিং খান। কখনও ফ্লাইং কিস তো কখনও দশ আঙুলে ভালবাসা ছু়ড়ে দিচ্ছেন। আবার কখনও ডিডিএলজে ছবির আইকনিক পোজ দিতেও দেখা গেল বাদশাকে বারবার ভক্তদের আবদার মেটাতে। কেকেআর গতকাল মাঠের লড়াই জিতে চ্যাম্পিয়ন হলেও খেলা শেষে শো স্টপার কিন্তু তিনিই। এক ও অদ্বিতীয়ম শাহরুখ খান।
গতকাল ম্য়াচের পরই মাঠে নেমে আসেন শাহরুখ। কেকেআরের যে ম্যাচেই মাঠে আসেন তিনি, সেই ম্য়াচেই মাঠে নেমে প্লেয়ারদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলতে শোনা যায় শাহরুখকে। এদিনও তার ব্য়তিক্রম হয়নি। মাঠে নেমেই দলের আসল সৈনিকদের সঙ্গে দেখা করে বুকে জড়িয়ে ধরেন কিং খান। রিঙ্কু, রানা থেকে শুরু করে রাসেল, স্টার্ক এমনকী নবাগত রমনদীপ, অঙ্গকৃষ কেউ তালিকা থেকে বাদ যাননি। গৌতম গম্ভীরকে কাছে পেয়ে তো জড়িয়ে ধরে কপালে চুমুও খেলেন। এই দলটায় গম্ভীরের উপস্থিতিত মাহাত্ম্য কতটা তা ভাল মতই জানেন বাদশা। সোনালি ট্রফিটা হাতে নিলেন। ছুঁয়ে দেখলেন, চুমুও খেলেন। স্ত্রী গৌরীও পাশে ছিল তখন। তাঁকে নিয়ে ট্রফির সঙ্গে ছবিও তুললেন। রবি রাতের চিপকের এই ছবিগুলোই তো মুহূর্ত তৈরি করেছিল। যেখানে চারিদিকে একটাই শব্দব্রহ্ম শোনা যাচ্ছে করব...লড়ব...জিতব রে...