বেঙ্গালুরু: টস করতে নেমেছিলেন। টস জিতলেন। প্রথমে ফিল্ডিং নেওয়ার কথা জানালেন। কিন্তু টিম লিস্ট দিতে গিয়ে ও প্রথম একাদশ জানাতে গিয়ে গুলিয়ে ফেললেন শ্রেয়স আইয়ার। দুটো টিমলিস্টে দুরকম লেখা। যা দেখে নিজেরই ল্যাজেগোবরে অবস্থা নাইট অধিনায়কের। নিজেই জানালেন, ''অনুকূল রায় দলে ঢুকেছেন। আমি সত্যিই একটু গুলিয়ে ফেলেছি, দুটো টিম লিস্ট আমাকে দেওয়া হয়েছে।'' যদিও শেষ পর্যন্ত টিম লিস্ট দিলেন শ্রেয়স। এদিন নাইট একাদশে খেলানো হয়নি নীতিশ রানাকে। সূত্রের খবর, রানার হাল্কা চোট রয়েছে। অন্যদিকে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে দলে রয়েছেন সুয়াশ শর্মা। কিন্তু অনুকূল রায় কি নীতিশ রানার পরিবর্তে দলে ঢুকে পড়লেন, সেটা নিশ্চিত হলতে পারেননি নাইট অধিনায়ক। 


প্রথম ম্য়াচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল কেকেআর। সেই ম্য়াচে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলেছিলেন সুয়াশ শর্মা। এদিনও তাঁকে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবেই রাখা হয়েছে। নাইটদের প্রথম একাদশ অনেকটা এরকম: ফিল সল্ট, বেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স আইয়ার, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, রমনদীপ সিং, অনুকূল রায়, মিচেল স্টার্ক, হর্ষিত রানা এবং বরুণ চক্রবর্তী


 






আরসিবির বিরুদ্ধে ম্য়াচ মানেই বিরাট বনাম গম্ভীর ডুয়েল। মাঠে ও মাঠের বাইরে আইপিএলের ইতিহাসে বারবার ঝামেলায় জড়িয়েছেন ২ তারকা। কেকেআরের অধিনায়ক যখন ছিলেন গম্ভীর তখন বিরাটের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন ২০১৩ সালে ও ২০১৬ সালে। এরপর গত মরশুমে লখনউ সুপারজায়ান্টসের মেন্টর ছিলেন গম্ভীর। সেই সময়ও কোহলির সঙ্গে গম্ভীরের ঝগড়া বেঁধেছিল মাঠের বাইরেই। যা আটকাতে রীতিমত ২ দলের সাপোর্ট স্টাফ থেকে প্লেয়াররাও এগিয়ে এসেছিলেন। 


এদিকে আরসিবি ম্য়াচ খেলতে নামতে নামতেই এক নতুন রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন সুনীল নারাইন। বিশ্বের মাত্র চতুর্থ ক্রিকেটার হিসাবে পাঁচশো টি-টোয়েন্টি খেলার নজির গড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিস্ময় স্পিনার। তালিকায় তাঁর আগের তিনজনের মধ্যে দুজনই স্বদেশীয়। ৬৬০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তালিকার শীর্ষে কায়রন পোলার্ড। তালিকায় রয়েছেন ডোয়েন ব্র্যাভোও। তিনি ৫৭৩ ম্য়াচ খেলেছেন। এছাড়াও ৫৪২ ম্য়াচ খেলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ও ক্রিকেটার শোয়েব মালিক।