আমদাবাদ: এই দলটাই এক তাঁদের আগের ম্য়াচে ২৭৭ রান বোর্ডে তুলে ফেলেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। কিন্তু এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে বোর্ডে মাত্র ১৬২/৮ রানই তুলতে পারল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলের একজন ব্যাটারও এদিন ত্রিশের বেশি রান করতে পারেননি। অন্য়দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাজিমাত করলেন মোহিত শর্মা। শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে তুলে নিলেন ২ উইকেট। ঘরের মাঠে ম্য়াচের প্রথম ইনিংসের পরই বেশ ভাল জায়গায় দাঁড়িয়ে গুজরাত টাইটান্স। জয়ের জন্য তাঁদের প্রয়োজন ১৬৩ রান।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়য়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। আগের ম্য়াচে অভিষেক শর্মা ওপেনে নেমে ঝোড়ো অর্ধশতরান করেছিলেন। এদিনও ময়ঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেনে ট্রাভিস হেড। কিন্তু দুজনের কেউই শুরুটা ভাল করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ময়ঙ্ক ১৬ ও হেড ১৯ রান করে আউট হন। তিন নম্বরে নেমেছিলেন অভিষেক। এদিনও ভাল শুরু করেছিলেন। ২টো বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ২০ বলে ২৯ রান করে এদিন ফেরেন অভিষেক। এইডেন মারক্রামও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ১৯ বলে ১৭ রান করে ফেরেন তিনি। ক্লাসেন আগের ম্য়াচের সানরাইজার্সের নায়ক ছিলেন। এদিনও ক্রিজে সেট হয়ে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২৪ রান করে রাশিদ খানের বলে বােল্ড হয়ে যান। শাহবাজ আহমেদ ও আব্দুল সামাদ মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ২০ বলে ২২ রান করে বাংলার অলরাউন্ডার। সামাদ ১৪ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে। গুজরাত বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে কোনও ব্য়াটারই ঝড় তুলতে পারেননি। 


 






গুজরাত বোলারদের মধ্যে মোহিত শর্মা সবচেয়ে সফল বোলার। নিজের চার ওভারের স্পেলে মাত্র ২৫ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। বিশেষ করে তাঁকে কেন ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট বলা হয়, এদিন তা প্রমাণ করে দিলেন অভিজ্ঞ এই পেসার। শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিলেন। তুলে নিলেন ২ উইকেট। হ্যাটট্রিকের সুযোগও ছিল। যদিও তা মিস করেন। আজমতউল্লাহ, উমেশ, রাশিদ খান ও নূর আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।