লখনউ: আইপিএলের (IPL 2024) মতো মঞ্চে প্রথম ম্যাচ। আর সেই ম্যাচেই দুরন্ত বোলিংয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন ময়ঙ্ক যাদব (Mayank Yadav)। বয়স মাত্র ২১ বছর। কিন্তু তাঁর নিরন্তর ১৪৫ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেগে বল সামলাতে নাজেহাল হয়েছেন শিখর ধবন, জনি বেয়ারস্টোরা। মাঠে নেমেই  প্রথম ম্যাচে তিন তিনটি উইকেট নিয়েছেন ময়ঙ্ক। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। তাঁর এই গতির রহস্যটা ঠিক কী?


ময়ঙ্ক জানান গতির জন্য তাঁকে আলাদাভাবে কোনওকিছু করতে হয়নি। বলের গতিটা তাঁর স্বাভাবিকভাবেই আসে। তাঁর লক্ষ্য বরং বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা আনা। পাশাপাশি যাঁদের ছোটবেলা থেকে দেখে বড় হয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে উচ্ছ্বসিত তরুণ তুর্কি। পাঞ্জাব-লখনউ ম্যাচের পর আইপিএলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ময়ঙ্ক বলেন, 'গতিটা তো আমার স্বাভাবিকভাবেই আসে। জোরে বল করার জন্য আমি বাড়তি কিছু করি না। বরং ধারাবাহিক বল করে দলকে জিততে সাহায্য করাটা আমার লক্ষ্য। ছোটবেলা থেকে যাঁদের দেখে বড় হয়েছি, তাঁদের প্রশংসা পাওয়াটা কিন্তু আমার জন্য বিরাট বিষয়। আমার বাবা ফাস্ট বোলিং পছন্দ করেন। ছোটবেলায় আমায় ডেল স্টেন, মর্নি মর্কেল, মিচেল জনসনদের ভিডিও দেখাতেন। ব্যাটারদের হেলমেটে, গায়ে বল লাগার দৃশ্যগুলি আমার বেশ ভালই লাগত। সেই ভালা লাগাই আমায় ফাস্ট বোলার হওয়ায় অনুপ্রাণিত করে।'


 






বড় মঞ্চে প্রথম ম্যাচে সাধারণত সকলেই স্নায়ুর চাপে ভোগেন। তবে ময়ঙ্কের ক্ষেত্রে এমন কোনও বিষয় হয়নি। তিনি নিজেই বলেন, 'অনেকেই স্নায়ুর চাপের কথা বলে থাকেন। তবে আমার কিন্তু এমন কিছুই মনে হয়নি। যখন নিকি (নিকোলাস পুরান) আমার হাতে বল তুলে দেয়, তখন আমি মনে মনে স্থির করে আমায় এখানে নিজের সেরাটা দিতে হবে। এটাই আমার সেরা সুযোগ।' ময়ঙ্ককে গত মরশুমে ২০ লক্ষ টাকায় দলে নেয় লখনউ। তিনি চোটের কারণে খেলতে পারেননি বটে, তবে লখনউ তাঁর প্রতিভায় আস্থা রাখে। বিধ্বংসী স্পেলে দলকে জিতিয়ে সেই আস্থার প্রতিদানই দিলেন ২১ বছর বয়সি দিল্লির তরুণ ক্রিকেটার। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে


আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমে দিল্লি-চেন্নাইয়ের দ্বৈরথ, কেমন থাকবে আবহাওয়া, কোথায় দেখবেন ম্যাচ?